রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে জাতিসংঘ।
মিয়ানমারে কর্মরত জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার সতর্কবাতা উপেক্ষা করার অভিযোগ ওঠে।অভিযোগের আলোকে ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে জাতিসংঘ কার্যালয়ের ভূমিকার উপর একটি প্রতিবেদন তৈরীর আদেশ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
৩৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন তৈরী করেন গুয়াতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘ দূত গার্ট রোজেনথাল। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ‘পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ’ উল্লেখ করে বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ কোন কৌশল ছিল না জাতিসংঘের। এছাড়াও নিরাপত্তা পরিষদের অপর্যাপ্ত সমর্থনের কথাও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের কর্মকাণ্ড নিয়ে রোজেনথাল বলেন, “এটা সমষ্টিগত দায়িত্ব ছিল। একে সত্যিকার অর্থে জাতিসংঘের ‘পদ্ধতিগত ব্যর্থতা’ বলা যেতে পারে।”
রোজেনথাল বলেন, জাতিসংঘ মিয়ানমারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ী করতে এবং একইসঙ্গে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল। তিনি বলেন, মিয়ামারকে মানবাধিকর লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করতে যোগ্য ভূমিকা রাখেনি জাতিসংঘ। তবে তাদের উন্নয়নের ব্যাপারে ইতিবাচক ছিল তারা।
জাতসংঘের মহাপরিচালক অ্যান্তনিও গুতেরা অনুমোদিত প্রতিবেদনটি জনসাধারণের জন্য প্রকাশের আগেই হাতে পায় দ্য গার্ডিয়ান। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সমপ্রদায়ের প্রতি সরকারের সহিংসতা বৃদ্ধির লক্ষণ অগ্রাহ্য করে সেটিকে গণহত্যায় রূপ দিয়েছে জাতিসংঘ। এটি লিখেছেন গুয়াতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ট রজেনথাল।