fbpx
হোম আন্তর্জাতিক রাশিয়ার ডাক্তারেরা হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে মরছেন !
রাশিয়ার ডাক্তারেরা হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে মরছেন !

রাশিয়ার ডাক্তারেরা হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে মরছেন !

0

ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যকে টপকে ইউরোপের সর্বোচ্চ করোনা রোগী এখন ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়ায় । ভয়াবহ সেখানকার করোনা পরিস্থিতি।

দেশটিতে অস্বাভাবিক কিছু ঘটনার মধ্যে নার্সদের হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে মরে যাওয়ার ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা ‍দিয়েছে।

গত দুই সপ্তাহে দেশটিতে অন্তত ৩ জন চিকিৎসককে হাসপাতালের জানালা দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়তে দেখা গেছে। এদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। এর আসল কারণ হিসেবে তিনটি ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ডাক্তারদের মারাত্মক দ্বন্দ্বের প্রমাণ রয়েছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, সেখানে মেডিকেল কর্মীরা অসহনীয় চাপের মধ্যে কাজ করছে। ভুক্তভোগীরা কমপক্ষে দুটি কারণে আত্মহত্যার উপায়ে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। প্রথমত অদৃশ্য ঘাতকের মুখোমুখি হয়ে কাজ করার সময় অপর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক সুযোগ-সুবিধাকে অগ্রাহ্য করা ও পর্যাপ্ত চাপ দেওয়া।

কোসিয়াকিন নামে একজন সুরক্ষা সরঞ্জামাদির ঘাটতি নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন। ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল।

কোসিয়াকিন বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, শুলেপভ (করোনা রোগী) ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে আছে, তার অবস্থা গুরুতর। সর্বশেষ তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল ৩০ এপ্রিল। আমরা একে অপরের খোঁজখবর নিয়েছি তখন। ও ভালো বোধ করছিলো এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে হঠাৎ করেই এসব ঘটে গেলো। কেন এসব হলো তা স্পষ্ট নয়। অনেক প্রশ্নের উত্তর আমারও জানা নেই।’

শুলেপভ হলেন গত দুই সপ্তাহে হাসপাতালের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়া তৃতীয় স্বাস্থ্যকর্মী। এর আগে সাইবেরীয় শহর ক্রাসনোইয়ারস্ক-এর একটি হাসপাতালের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েছিলেন সেখানকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসক এলেনা নেপোমনিয়াশছায়া। এক সপ্তাহ ধরে আইসিইউতে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১ মে মৃত্যু হয় তার। নেপোমনিয়াশছায়াও হাসপাতালের সুরক্ষা সরঞ্জামাদির ঘাটতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *