fbpx
হোম সংবাদ ২৪ ঘন্টা করোনা রাজধানীজুড়ে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত
রাজধানীজুড়ে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

রাজধানীজুড়ে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

0

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসাধারণের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন। পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রাজধানীর জনবহুল চারটি স্পট শাহবাগ, ফার্মগেট, সিটি কলেজ জিগাতলা ও মিরপুর ও এর আশেপাশের এলাকায় একযোগে এ অভিযান শুরু হয়। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরিধান করছেন। তবে একটা বড় অংশ এখনও মাস্কের ব্যাপারে উদাসীন। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হলে অনেকেই বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বাঁচতে চাইছেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানাসহ মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করছেন। পাশাপাশি তাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করছেন।

ফার্মগেট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে। প্রত্যেকের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফার্মগেটের মতো জনবহুল একটা এলাকায় বেশিরভাগ মানুষকে মাস্ক পরিধান করতে দেখা গেছে। তবে অনেকেই এখনও এ ব্যাপারে উদাসীন। কারো কারো সঙ্গে মাস্ক আছে, কিন্তু পরছেন না। সবাইকে সচেতন করার জন্য এবং যারা মাস্ক পরছেন না তাদের সংশোধনের জন্য বিভিন্ন পরিমাণ অর্থদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান রয়েছে, অভিযান শেষে মোট জরিমানার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

মিরপুর দারুস সালাম এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়ে র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি দরিদ্র শ্রেণির জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফালোফী মনোভাব-
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার শুরুতেই হুট করে বেড়ে গেছে মাস্কের দাম। জনসাধারণ অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফালোফী মনোভাবকে দায়ী করছেন। বিক্রেতারা বলছেন মাস্কের দাম বেড়ে যাওয়াও তারাও খানিকটা বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে বাজারে মাস্কের সংকট নেই। জানা যায়, সার্জিক্যাল মাস্ক ও এন-৯৫ মাস্কের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। ৫০টি মাস্কের এক বক্স সার্জিক্যাল মাস্ক ৭০-৮০ টাকা এবং ১০টির এন-৯৫ মাস্কের প্যাকেট ২০০-২২৫ টাকা পাইকারি দামে বিক্রি করেছে। কিন্তু এখন সার্জিক্যাল মাস্ক ১২০ থেকে ১৫০ টাকা এবং এন-৯৫ মাস্ক ২৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

ক্রেতারা জানান, মাস্কের দাম বাড়লেও কিছু করার নেই। তাদের মাস্ক পরেই বাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে। মাস্ক সরবরাহকারীরা বলছেন, আমদানিকৃত যে মাস্ক রয়েছে তার ২০ শতাংশও বিক্রি হয়নি। এখন মাস্কের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হয়তো দাম কিছুটা বেড়েছে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *