fbpx
হোম অন্যান্য মোবাইলেই কার্টুন বানিয়ে আয় করছেন টাঙ্গাইলের আতিক
মোবাইলেই কার্টুন বানিয়ে আয় করছেন টাঙ্গাইলের আতিক

মোবাইলেই কার্টুন বানিয়ে আয় করছেন টাঙ্গাইলের আতিক

0

মহামারি করোনাভাইরাসের এই ঘরবন্দি সময়ে অফুরন্ত অবসরকে কাজে লাগিয়ে আতিকুর রহমান রানা মোবাইলেই তৈরি করছেন কার্টুন। কুষ্টিয়ার মেডিকেল সহকারী ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর। শখের বশে তৈরি করা শুরু করলেও এখন এ থেকে বেশ আয়ও হচ্ছে এই তরুণের।

তার বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী সদরে। বাবা ইয়াসিন আলীর তিন সন্তানের সবচেয়ে ছোট তিনি। অভাবের সংসারে স্বাদ থাকলেও কখনো স্মার্টফোন কেনার সাধ্য হয়ে ওঠছিল না। পড়াশোনায় মেধাবী বলেই হাইস্কুলে ওঠেই শুরু করেন ছোটদের প্রাইভেট পড়ানো। নিজের পড়াশোনার খরচ অনেকটা নিজেই চালিয়েছেন। নিজে কখনো প্রাইভেট না পড়ে পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে ভালো ফলাফল করে বৃত্তি পেয়েছেন। আর অষ্টম শ্রেণির বৃত্তির টাকায় কিনেছেন স্মার্টফোন।

ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকির দারুণ নেশা ছিল। প্রাকৃতিক দৃশ্য থেকে শুরু করে মানুষের চেহারাও ফুটিয়ে তুলতে পারেন রঙ-তুলিতে, আর তাই নিজের আঁকা ছবিকে কথা বলানোর চিন্তা এলো মাথায়। কাজে লাগালেন নিজের হাতের স্মার্টফোন। এরপর আস্তে আস্তে মোবাইল দিয়ে রপ্ত করে নিলেন কার্টুন তৈরি।  বিস্ময়কর হলেও সত্যি, মোবাইল দিয়ে নিজের প্রচেষ্টায় নতুন নতুন চরিত্র বানিয়ে তাতে ভয়েস থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ড, অ্যানিমেশনের সব কাজ করেছেন তিনি। তাছাড়া কার্টুন তৈরি করে দেওয়ার টুক টাক অর্ডারও পাচ্ছেন। এতে বেশ আয়ও করছেন এই তরুণ কার্টুনিস্ট।

আতিকুর রহমান রানা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতাম। গ্রামের দৃশ্য ও বন্ধুদের ছবিও এঁকেছি, আর সেগুলো বন্ধুরা ও ম্যাডাম, স্যাররা খুব পছন্দ করত। একদিন মামা আমার আঁকা ছবি দেখে অনেকগুলো রঙ-পেন্সিল দেয়। আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। তবে কখনো পড়াশোনা ফাঁকি দিয়ে ছবি আঁকিনি। কারণ বাবা চান আমি বড় হয়ে ভালো চাকরি করি। আর তাই পড়াশোনা করে অবসর সময় বাইরে আড্ডা না দিয়ে ছবি আঁকাতে বসে যেতাম। এরপর অষ্টম শ্রেণিতে আমি বৃত্তি পাই, আর সেটা দিয়ে একটা স্মার্টফোন কিনি।’

আতিক আরও বলেন, ‘আমার ইচ্ছে হলো আঁকা ছবিগুলোকে কথা বলাব, আর তাই দীর্ঘ দিন ধরে মোবাইলের মাধ্যমে সেই চেষ্টা করছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে পাঁচটি মোবাইল অ্যাপস দিয়ে শিখে ফেলাম কীভাবে কার্টুন তৈরি করতে হয়।’ ‘একটা কন্টেন্ট বানাতে দুই-তিন দিন লেগে যায়। আমার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই। মোবাইলে কাজ করতে গিয়ে ইদানিং অনেক ঝামেলায়ও পড়তে হয়। ভালো মোবাইল প্রয়োজন, তবুও এটা দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। আর কাজের অনেক প্রশংসাও পাচ্ছি। অনেকে টুকটাক কার্টুন তৈরির অর্ডার দেয়, আর সেটা থেকে আমার হাত খরচের টাকা হয়ে যায়’, বলেন তিনি৷

আতিকের ইউটিউবে ‘এ আর আতিক’ নামে একটি চ্যানেল রয়েছে। ইতোমধ্যে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করাসহ বেশকিছু কন্টেন্ট তৈরি করে চ্যানেলটিতে আপলোড দিয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি স্বপ্ন দেখেন একজন কার্টুনিস্ট হওয়ার।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *