মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদে বিশেষ অধিবেশন আজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বসতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। এ অধিবেশনে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর এমপিরা আলোচনা করবেন। অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় অধিবেশন শুরু হবে। অধিবেশনের প্রথম দিনে শোক প্রস্তাব ও অধ্যাদেশ উত্থাপন করা হবে।
অধিবেশনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্মারক বক্তৃতা করবেন। এরপর এ স্মারক বক্তৃতার ওপর আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে। ওই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধীদলীয় এমপিদের আলোচনা শেষে তা পাস হবে।
সংসদ কক্ষে স্পিকার যেখানে বসেন, তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পরপরই অধিবেশন কক্ষে ছবি টাঙিয়েছে সংসদ কর্তৃপক্ষ। এই বিশেষ অধিবেশনই হবে প্রথম অধিবেশন, যেখানে সংসদ কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরটিকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। মুজিববর্ষে নানা কর্মসূচি থাকলেও করোনা মহামারিতে সীমিত করা হয় সব কিছু।
এদিকে বিশেষ অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। এমপি, সাংবাদিকসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা চলছে। সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টার ও মেডিকেল সেন্টারে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। করোনা নেগেটিভ ব্যক্তিরাই বিশেষ অধিবেশনে প্রবেশ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না। অধিবেশনের আলোচনা, সাজসজ্জা ও প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, দর্শন, সর্বোপরি মহান এই নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরা হবে। চার দিনের বিশেষ আলোচনা শেষে অধিবেশনের সাধারণ কার্যক্রমও চলবে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ২২ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন। তবে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়।