‘# মি টু’ আন্দোলন আরো জনপ্রিয় হবে
‘মি টু’ আন্দোলন বা ’হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন ২০১৮ সালের একটি বহুল আলোচিত ক্যাম্পেইন। যৌন হয়রানী ও যৌন অবমাননার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে এ আন্দোলনের সুত্রপাত করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার কর্মী তারানা বার্ক।হলিউডের প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের যৌন কেলেঙ্কারির খবর ফাঁসের সূত্র ধরে মার্কিন অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানো প্রচারণা শুরু করেন ২০১৭ সালে। আবারো নারীদের উৎসাহিত করতে এ প্রচারণা দ্রুত জনপ্রিয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে৷ সে বছর টাইম ম্যাগাজিনে বর্ষসেরা প্রভাব বিস্তারকারী ক্যাপ্নেইনের খ্যাতি অর্জন করে এই আন্দোলন।অ্যালিসার সাথে ’হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলনে যুক্ত হন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জিনেথ, অভিনেত্রী এশলে জুড, জেনিফার লরেন্স, হলিউড তারকা উমা থারমান প্রমুখ।
আন্দোলন ছড়িয়ে পরে বিশ্বময়। বিশ্বের অনেক নামীদামী ব্যক্তি, বিশেষ করে সিনেমা ও রাজনৈতিক সেলিব্রেটিদের কপাল পুড়তে থাকে এই আন্দোলনের ফলে। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরকে পদত্যাগ করতে হয়েছে মন্ত্রীত্ব থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংবাদিক পল্লবী গগৈ সম্প্রতি ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিলেন।
ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা অভিযোগে তোলপাড় বলিউডসহ পুরো ভারতীয় মিডিয়া। ‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমার অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের অভিযোগ ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিং চলাকালে নানা তাকে যৌন হেনস্তা করেন। এমন কি নানার এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অন্য কোনো শিল্পীরা মুখ খুলতে সাহন পান না বলেও জানান তনুশ্রী। বলিউড তারকা চিত্রাঙ্গদা সিং কথা বলেছেন এক-ই প্রসঙ্গে।
বাংলাদেশে ’হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলনের পক্ষে নারী নেত্রীরা সেমিনার ও মানব বন্ধন করলেও হালে পানি পায়নি সেটি। তবে অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘মি টু’ আন্দোলনের ভয়ে আতঙ্কিত অনেকেই। নারী অধিকার কর্মীরা মনে করেন, ‘মি টু’ আন্দোলন আগামীর দিনগুলোতে আরো জনপ্রিয় হবে বিশ্বব্যাপী।