মামুনুলের কাছ থেকে বিস্ফোরক তথ্য পাওয়ার দাবি পুলিশের…
এবার গোয়েন্দা পুলিশ দাবি করেছেন, দেশের কোন ওয়াজ মাহফিলে কে ওয়াজ করবেন, সেটাও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন।
তিনি জানান, রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন নামে একটি সংগঠন বেশ তৎপর। হেফাজতের উগ্রপন্থি নেতারা এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কোথাও কোন ওয়াজ মাহফিল করতে হলে তাদের মাধ্যমে আসতে আয়োজকদের বাধ্য করা হয়। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ‘রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন’র নেতৃত্বে ছিলেন। আগে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, সম্প্রতি তাকে যুক্ত করা হয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, হেফাজত বড় ধরনের অপপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল; যা দৃশ্যত এতদিন অজানা ছিল তাদের। হেফাজতের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর প্রায় অর্ধশতটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে নাশকতার ১২টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় ঢাকায়ই হেফাজতের প্রথম সারির ১৬ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মাহবুব আলম আরও জানান, পাকিস্তানের ‘তেহেরিক-ই-লাব্বায়িক’ নামের সংগঠনের আদলে তারা হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশকে গঠন করে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো এদেশকে গড়ে তুলতে চায়। যার পেছনে জামায়াত-শিবির রয়েছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে যে সব ভিডিও ফুটেজ, অডিও তারা সংগ্রহ করেছেন, তাতে সরকার, রাষ্ট্রবিরোধী ‘অনেক তথ্যপ্রমাণ’ পাওয়া গেছে। হেফাজত দেশের অনুদান সংগ্রহের পাশাপাশি প্রবাসীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আসত বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাহবুব।