মহিলাদের জন্য মসজিদে পৃথক নামাজ ও অজুর ব্যবস্থা জরুরি
রাস্তার পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে উন্নতমানের টাইলস ও এসি সম্বলিত সুরম্য মসজিদ ভবন। কিন্তু নারীদের বাথরুম, অজু আর নামাজের বিষয় নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। মসজিদে নারীদের নামাজ আদায় নিয়ে মাসয়ালাগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সেটা সম্ভব আলাদা একটি নামাজঘর নির্মাণের মাধ্যমে।
নারীদের জন্য এভাবে না ভাবা খুব দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।হাইওয়েসহ রাস্তার পাশের মসজিদগুলোতে নারীদের জন্য পৃথক বাথরুম ও অজুখানাসহ ছোট্ট নামাজঘরের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন তীব্র হচ্ছে।
তাই ইতোমধ্যে (২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে) দেশের সকল মসজিদে নারীদের নামাজের সুব্যবস্থা চেয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই রিটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে (ডিজি) বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ ধারা অনুযায়ী নারী-পুরুষ সকলের ধর্ম অবলম্বন, পালন ও প্রচারের অধিকার রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলিম নারীরা ধর্ম পালনে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এতে আরও বলা হয়, মুসলমানদের ধর্ম চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হলো- মসজিদ। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও মসজিদে নামাজ আদায়ের পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, সাংবিধানিক ও ধর্মীয়ভাবে নারীদের মসজিদে নামাজ আদায়ের পূর্ণ অধিকার থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের নারীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মুসলিম নারীরা যাতে যথাযথভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন সে জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের জায়গা, অজু করার জায়গা ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।
দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। নারীদের অনেকেই পড়াশুনা, চাকুরি, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে নানা কারণে ঘরের বাইরে যেতে হয়। এ সময়টাতে সঙ্গীয় পুরুষ মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারলেও নারীদের জন্য পৃথক কোনো নামাজের জায়গা না থাকায় প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা নামাজ আদায় করতে পারেন না। এ জন্য তারা তীব্রভাবে মনোকষ্টে ভোগেন, তাই মসজিদে মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক নামাজের জায়গা থাকা জরুরি।