মহাসড়কে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: রিজভী
মহাসড়কে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত গণবিরোধী উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, জনগণের টাকা লুটের ষড়যন্ত্র করছে সরকার। দুপুরে (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, মহাসড়ক থেকে টোল আদায় করা হলে তা যাত্রীদের পকেট থেকেই দিতে হবে, যানজটের তীব্রতা বাড়বে, নষ্ট হবে সময়।
দেশের মহাসড়কগুলো টোল আদায়ের জন্য উপযুক্ত না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সারাদেশের অধিকাংশ রাস্তা খানাখন্দে ভরা। বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে মহাসড়কগুলোতেও। এসব কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। এছাড়াও, নানা কারণে সব রাস্তায় যানজট লেগেই আছে। যানজটের কারণে গাড়ি ঠিকমতো চলতে পারে না। এর মধ্যে টোলঘর বসালে প্রতিবন্ধকতা আরো বাড়বে। যানজটের পরিমাণও বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, এমনিতে বাস ভাড়া অনেক বেশি। সড়কে টোল আদায় করলে বাস ভাড়া আরো বাড়বে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া পরিবহন মালিকরা নেন না। তারা অনেক বেশি টাকা নেন। এখন টোলের টাকাও যাত্রীদের কাছ থেকে উঠানো হবে। এই টোলের ফলে যাত্রীদের টাকার অপচয় হবে, সময়ের অপচয় হবে। ফলে যাত্রীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এছাড়াও, টোল থেকে আদায় হওয়া টাকার কতো অংশ সরকারি কোষাগারে জমা পড়বে সেই প্রশ্নও রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। বলেন, সরকার নিজেরা টাকা ওঠালে সেখানে দুর্নীতির কারণে নয়-ছয় হয়৷ আবার ইজারা দিলে খাতিরের লোকজনকে নামমাত্র মূল্যে দেওয়া হয়৷ ফলে সরকারি কোষাগারে খুব বেশি টাকা জমা পড়ে না।
রিজভী বলেন, অন্যদিকে, টোল প্লাজা পার হতে যদি প্রতিটি গাড়ির পাঁচ মিনিট করেও সময় লাগে তাহলে শুধুমাত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাঁচ লাখ মিনিট সময় মানুষের জীবন থেকে চলে যাবে। এই এক লাখ গাড়িতে তো অনেক মানুষ চড়বেন। এর পাশাপাশি টোল আদায়ের সময় গাড়ির অতিরিক্ত তেল পুড়লে তার টাকাও আদায় করা হবে জনগণের কাছ থেকেই।