fbpx
হোম অনুসন্ধান মতিঝিলের যুবলীগ নেতা সাঈদ কমিশনার বিদেশে
মতিঝিলের যুবলীগ নেতা সাঈদ কমিশনার বিদেশে

মতিঝিলের যুবলীগ নেতা সাঈদ কমিশনার বিদেশে

0

ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পরই বেরিয়ে এসেছে মতিঝিলের যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের নাম। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। একই সঙ্গে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) সাধারণ সম্পাদকও। ওয়ান্ডারার্স ক্লাবটি পরিচালিত হতো তার নেতৃত্বে। খেলার বদলে এই ক্লাবে জুয়ার টাকায় জৌলুসের দৃশ্য ধরা পড়ার পরই তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একে একে বেরিয়ে আসছে সাঈদের টেন্ডারবাজি, জুয়ার আড্ডা, চাঁদাবাজি আর দখলবাজির বিভিন্ন অভিযোগ।

গত বুধবার র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাব, মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ সিলগালা করে দেয়। অভিযানের পর র‌্যাব জানায়, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনোর মালিক হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাওসার মোল্লা এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। অভিযানের খবরে দুজনই পালাতক। জানা গেছে, কয়েক দিন আগে সিঙ্গাপুরে যান সাঈদ।

খোঁজ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানতে পারেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে কাউন্সিলর সাঈদ ক্যাসিনোর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। র‌্যাবের অভিযানের আগে তার ধারণা ছিল তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন এবং ক্লাবগুলোর কাজকর্ম নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। তার ক্লাব খেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হলেও জুয়া ছিল মুখ্য।

কমিশনার সাঈদ আরামবাগ ও ফকিরাপুলে রাস্তায় লোহার গেট স্থাপন করে নিরাপত্তার কথা বলে প্রতি বাসা, দোকান ও প্রেস থেকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করতেন। এসব চাঁদা আদায়ের দায়িত্বে আছেন নোয়াখাইল্যা আবদুল মান্নান ও সাবেক বিএনপি নেতা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাইনু। এ ছাড়া সাঈদের নিয়ন্ত্রিত দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবেও চলে ক্যাসিনোর রমরমা বাণিজ্য। ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় রাতের আঁধারে প্রায় ২৫ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, ‘আফতাবুন্নেছা প্লাজা’ নামের বাণিজ্যিক একটি ভবনের ছাদ ভেঙে ফেলা হয়। জাল দলিলের মাধ্যমে সুজা উদ্দিন সুজা নামে এক ব্যক্তি ভবনটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় কাউন্সিলর সাঈদের সহায়তায় ভবনটি দখলে নেয় সুজা।

এ ছাড়া মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের পেছনে নবাব জেরিন কমপ্লেক্স টিনশেড মার্কেট দখল করে নেয়। পরে ঠিকঠাক করে ৩৫টি দোকান তৈরি করে। এসব দোকান ১০-২০ লাখ টাকা অ্যাডভান্স নিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়। দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় ফকিরাপুলের ১ নম্বর লেনের ২০৭ নম্বর বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ সাঈদের নির্দেশে বন্ধ করে দেয় যুবলীগ নেতা জামাল ও মতিঝিল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *