ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে সংকট যে কারণে
করোনা ভাইরাসের কারণে ঢাকার বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়া উভয়েই রয়েছেন মহাসংকটে। তাই সংকট সমাধানে সরকার ও সিটি কর্পোরেশন সহনশীল একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানিয়েছে রাজধানীবাসী।
করোনা আতঙ্কে গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে সংকুচিত আয়-রোজগারের পথ। এরমধ্যে মাস শেষ, পাওনা চাইছেন মালিকরা। দুশ্চিন্তার তাই ভাড়াটিয়ারা। কোনো কোনো বাড়িওয়ালা দিচ্ছেন মহানুভবতার পরিচয়। কেউ দিচ্ছেন ভাড়া বাকি রাখার সুযোগ, কেউবা করে দিচ্ছেন পুরোটাই মওকুফ।
সুখবর হলো, ইতিমধ্যে ভাড়া মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তি উদ্যেগে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষজন। যেমনটা এখনো পারেননি ঢাকার দুই নগরভবনের প্রতিনিধিরা। ঢাকার ফ্ল্যাট ও দোকান মালিক সমিতিও তেমনটা সম্ভব ‘পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য’ নয় বলে মনে করছে। বলছেন, ভাড়া না নিলেও তাদের ঠিকই গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল দিতে হবে।
এদিকে উদ্যোক্তা ছাড়াও যারা মাসিক বেতন পান তাদের ক্ষেত্রেও রয়েছে সমস্যা। কারণ এখনো সকল অফিস ছুটি হয়নি। ব্যাংক-বীমাসহ অধিকাংশ অফিসই খোলা রয়েছে। সেক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকরি হচ্ছে না “ঘরে থাকুন” স্লোগান।
অন্যদিকে বড় ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন সরকারের বিশেষ বরাদ্দের আশ্বাস। পোশাক খাতের উদ্যেক্তারাও পাবেন ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ। এসব দেখে, মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের প্রশ্ন: তাদের অপরাধ কি ? বন্ধ থাকা বিপনী বিতান শপিংমল থেকে পড়া মহল্লার হাজার হাজার দোকানের ভাড়ার বিষয়টিই বা কিভাবে নিষ্পত্তি হবে ?
এক্ষেত্রে উভয় পক্ষের স্বার্থ বিবেচনা করে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে এ থেকে পরিত্রানের আহ্বান ঢাকাবাসীর।