ভারী বর্ষণে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ
রাজধানীর বেশিরভাগ একালায় পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। ফলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সকাল ৬টার পর থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। সঙ্গে বজ্রঝড়ও হয়েছে। কেবল ঢাকা নয়, দেশে বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানীর মতিঝিল, মগবাজার, ধানমণ্ডি, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার মহল্লার ভেতরের সড়ক ছাড়াও প্রধান প্রধান সড়কেও হাঁটু পানি জমে যায়। অফিসগামী মানুষদের এ সময় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানান, রাজধানীতে সকাল ৬টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি এবং ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিকেলে কিছুটা কমে আসবে। কাল আবার আসবে। চট্টগ্রামে ১০৩ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশের বিভিন্নস্থানেই ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টিপাত বাড়ছে। এই প্রবণতা কয়েকদিন থাকবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মৌসুমী বায়ু তথা বর্ষা টেকনাফের কাছাকাছি চলে এসেছে। তাই বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও বাড়ছে। এটা দেশের আকাশে ছড়িয়ে পড়লে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, মৌসুমী বায়ু আগামী কয়েকদিনে টেবনাফ উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের শঙ্কায় নদীবন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টি হতে পারে।