ভারত থেকে আসা ঢলে আখাউড়া প্লাবিত
কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য মানুষ। তবে স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী জানান, টানা বর্ষণে গত রোববার (১৪ জুলাই) আখাউড়া উপজেলার কুসুমবাড়ী এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙার পাশাপাশি কালন্দি খাল দিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি হু-হু করে প্রবেশ করতে থাকে। এতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের অন্তত ২৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে মুহূর্তে তলিয়ে যায় কৃষকের সবজি ক্ষেত, ফসলি জমি, পুকুরসহ এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। এ অবস্থায় পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এলাকার মানুষ। প্রতিবছর বন্যা আর ভাঙন রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে সরকারে কাছে দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
গ্রামবাসীরা বলেন, প্রতি বছর আমরা ভয়াবহ দুর্যোগের শিকার হই। সরকার যদি সঠিকভাবে নির্ণয় করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করবে আমরা আশা করি।
তবে হাওড়া নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
মোগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন বলেন, জনগণের পাশে আছি, তাদের পাশ থাকবো। এলাকা ঘুরে দেখছি, যে এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা আমরা মেরামত করছি।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ভাঙন কবলিত রাস্তাঘাট মেরামতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বাঁধ মেরামতের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, বাঁধগুলো সুরক্ষা করার জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য আমরা সরকারিভাবে চাল পেয়েছি। আমরা তাদের চাল দিচ্ছি।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আখাউড়া উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ২৪টি গ্রামের ২ হাজারেরও বেশি পরিবারের জন্য এখন পর্যন্ত শুকনো খাবারের পাশাপাশি ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।