fbpx
হোম আন্তর্জাতিক ভারতে মুসলিম বৃদ্ধকে মারধর :দাঁড়ি কেটে দেয়া হল
ভারতে মুসলিম বৃদ্ধকে মারধর :দাঁড়ি কেটে দেয়া হল

ভারতে মুসলিম বৃদ্ধকে মারধর :দাঁড়ি কেটে দেয়া হল

0

করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যে ভারতের মুসলিম নির্যাতন কমেনি। মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়া আর মুসলিমদের উপর নির্যাতন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এবার ভারতের উত্তরপ্রদেশে ফের মুসলিম নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এবার দুষ্কৃতিকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন আব্দুল সামাদ নামের এক বৃদ্ধ। নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আব্দুল সামাদ। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাতে রাজ্যের লোনি শহরে ঘটেছে এই ঘটনা। হামলাকারীদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদেরও গ্রেফতারের তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ভিডিওবার্তায় আব্দুল সামাদ বলেন, রোববার মসজিদে এশার নামাজ আদায় শেষে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় একটি অটোরিকশা এসে তার সামনে থামে এবং সেখান থেকে তিন ব্যক্তি নেমে এসে তাকে বলে, তার সঙ্গে জরুরি কথা আছে তাদের। কী কথা জানতে চাইলে তাদের একজন প্রথমে তাকে চড় দিয়ে ফেলে দেয় এবং তারপর টেনে হিঁচড়ে তাকে কাছের একটি পরিত্যাক্ত কুঁড়েঘরে নিয়ে যায়।

ভিডিওবার্তায় কাঁদতে কাঁদতে সামাদ বলেন, ‘ঘরে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বাঁশ ও কাঠের লাঠি দিয়ে তারা আমাকে মারধোর করে, তারপর ছুরি দিয়ে দাঁড়ি কেটে দেয় এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান উচ্চারণ করতে বলে। আমি কী অপরাধ করেছি জানতে চাইলে তারা বলে, আমি পাকিস্তানি এজেন্ট।’

সামাদ আরও বলেন, ‘তারা আমাকে মুসলিম নির্যাতনের বিভিন্ন ভিডিও দেখিয়ে বলে যে, আমি যদি অপরাধ স্বীকার না করি, তাহলে নির্যাতন আরও বাড়বে, আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।’

লোনির জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা অতুল কুমার সোনকার এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, পুলিশ এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি মামলা গ্রহণ করেছে এবং ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রবেশ গুজ্জার নামে এক সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপর দুই হামলাকারীকে গ্রেফতারের ব্যাপারেও তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গ্রেফতার গুজ্জার অবশ্য এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *