বেলজিয়ামে প্রাণীকে বৈদ্যুতিক শক দেয়ার আদেশ !
বেলজিয়ামের এক আইনে বলা হয়, জবাই করার আগে প্রাণীকে বৈদ্যুতিক শক দিতে হবে। ২০১৭ সালে বেলজিয়ামের ফ্লান্ডার্স অঞ্চল এ আইন প্রণয়ন হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত জানায় যে, এই আইনকেই বহাল রাখার পক্ষে তারা। বেলজিয়ামের একটি আইন বহাল রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত। এ রায়ের ফলে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়।
তবে এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বেলজিয়ামের প্রাণী অধিকার সংস্থা গ্লোবাল অ্যাকশন ইন দ্য ইন্টারেস্ট অফ অ্যানিমেলস। তবে ইহুদি সংগঠন সিসিওজেবি রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
কিন্তু জবাইয়ের আগে শক দিয়ে মারলে সেই প্রাণীকে হালাল বা কোশার পণ্য হিসাবে গণ্য করা হবে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এই আইনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সাল থেকেই সরব ছিল ইহুদি ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠন। তারা জানান, কোনো প্রাণীর মাংস হালাল বা কোশার হতে গেলে সেই প্রাণীকে আগে শক দেওয়া যাবে না।
কিন্তু আদালতের মত, বেলজিয়ান আইনটি বহাল রাখাই সঠিক, কারণ ধর্মে প্রচলিত আচারকে এই আইন সম্পূর্ণভাবে খারিজ করছে না। একই সঙ্গে, এই শক দেওয়াতে আংশিকভাবে ধর্মচর্চায় বিঘ্ন ঘটবে, তা স্বীকার করে আদালত।