বিল গেটসের ২৭ বছরের মধুর সম্পর্কের বিচ্ছেদ !
রয়টার্সের মঙ্গলবার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্তের অর্থনৈতিক কি প্রভাব পড়বে সে বিষয়ে বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি।
বিল গেটস ও মেলিন্ডা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোর্টের দারস্থ হয়েছেন। তাদের সম্পতি ভাগাভাগির ভারও আদালতকে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে খুবই গোপনীয়তা অবলম্বন করেছেন বিল ও মেলিন্ডা। তাদের পরিবার কিংবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও কেউ মুখ খোলতে রাজি হয়নি।
কী কারণে দুজনের পথ আলাদা হয়ে গেল সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি গোপন থাকুক সেটিই চাওয়া তাদের পরিবারের। যেমনটি জানা গেল এই দম্পতির বড় মেয়ের পোস্টে।
বিচ্ছেদের পর ইনস্টাগ্রামে জেনিফার গেটস লিখেছেন, আমাদের পুরো পরিবারের জন্য একটা দুঃসময় ছিল। জীবনের পরবর্তী ধাপে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টি বোঝার জন্য সবাইকে অগ্রিম ধন্যবাদ দেন গেটস দম্পতির বড় মেয়ে জেনিফার।
অনেকটা হঠাৎ করেই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন দুজন। দুই সপ্তাহ আগেও মহামারি মোকাবিলায় লড়াইরত চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দুজন। সেখানে জানান, করোনা আক্রান্তদের সহায়তায় বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
সোমবার টুইটারে পোস্ট করা যৌথ বার্তায় গেটস দম্পতি বলেন, অনেক চিন্তাভাবনা করে আমরা বিয়ের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা আরও লেখেছে, আমরা এটা আর বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমাদের জীবনের পরের ধাপে দম্পতি হিসেবে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারব।
এক টুইটবার্তায় লেখেন, গত ২৭ বছরে আমরা অসাধারণ তিনটি সন্তান পেয়েছি। এমন একটা ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছি, যে ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাস্থ্য ও সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে। আমরা যে বিশ্বাস থেকে ফাউন্ডেশনটি চালু করেছি, সেটা থাকবে। এই ফাউন্ডেশনের কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যাব।