fbpx
হোম জাতীয় বিদেশ যেতে চাইলে আবার জেলে যেতে হবে খালেদা জিয়াকে
বিদেশ যেতে চাইলে আবার জেলে যেতে হবে খালেদা জিয়াকে

বিদেশ যেতে চাইলে আবার জেলে যেতে হবে খালেদা জিয়াকে

0

আমি যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি সেটা থেকে ফিরে এসে তাকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হিাসিনা। স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যদি তাদের বাইরে যেতে হয় তাহলে এখন যে আমি সাজা স্থগিত করেছি, তাকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি সেটা আমাকে উইথড্র করতে হবে। তাকে আবার জেলে যেতে হবে এবং কোর্টে যেতে হবে। কোর্টের কাছে আবেদন করতে হবে। কোর্ট যদি রায় দেয় তখন সে যেতে পারবে। ‘
ভয়েস অব আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি সরকার পুনর্বিবেচনা করবে কি না।
জবাবে শেখ হাসিনা উপস্থাপককে উল্টো প্রশ্ন করেন- ‘পৃথিবীর কোন দেশে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে? পৃথিবীর কোনো দেশ দেবে? তাদেরকে যদি চাইতে হয় তাহলে আবার কোর্টে যেতে হবে আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আদালতের কাজের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে হ্যাঁ যতটুকু করতে পেরেছি আমার সরকার হিসেবে যতটুকু করার ক্ষমতা আছে তার সাজাটা স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার পারমিশন দেওয়া হয়েছে। সেখানে সে চিকিৎসাও করাচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে দামি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। ‘
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে গেলো ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফের আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। শিগগিরই এ ব্যাপারে মতামত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়। পরে দুদকের আরও একটি মামলায় তার দণ্ড হয়। সেই সময় থেকে বেশ কিছুদিন পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে রাখা হয়।
দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এজন্য রাজনীতিতে সক্রিয় না হওয়া এবং চিকিৎসা নিতে বিদেশে না যাওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। গত ৯ আগস্ট থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয় বিএনপি চেয়ারপারসন। তখন থেকে তিনি হাসপাতালেই আছেন। খালেদার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে বিদেশের কোনো এডভ্যান্স সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। অন্যদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্‌রোগে ভুগছেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *