বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এম.পি স্বপন
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক শিল্প উপ-মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন (৬৭) প্রিয় জন্মভূমি শাহজাদপুরে মা-বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন । শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা শাহজাদপুর সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তার ইচ্ছা অনুযায়ী চুনিয়াখালিপাড়া শাহ মখদুম কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এসময় প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। তার জানাযায় আওয়ামীলীগ সহ দল মত নির্বিশেষ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কযেক হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। এর আগে সকাল এগারোটায় তার মরদেহ ঢাকা থেকে বিমান বাহিনির বিশেষ একটি হেলিকপ্টারে পাশ্ববর্তী বেড়া উপজেলার খালেকুজ্জামান স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ফ্রিজিং এম্বুলেন্স যোগে তার শাহজাদপুরের দ্বারিয়াপুরস্থ বাসভবনে আনা হয়। এসময় প্রিয় নেতার কফিনে মোড়ানো নিথর দেহ দেখে দলীয় নেতাকর্মী এবং স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
উল্লেখ্য, হাসিবুর রহমান স্বপন গত জুলাই মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সবশেষে ২৯ আগষ্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তুরস্ক নেওয়া হয়। সেখানে ইস্তাম্বুল মেমোরিয়াল হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাতে ভোর ৩ঃ২০ মিনিটে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের সকল প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার ভোরে বিমান করে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় স্পিকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানীতে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় রাজনীতিতে দুর্দান্ত প্রভাবশালী এ নেতা ১৯৯৬ সালে বিএনপির মনোনয়নে ধানেরশীষ প্রতীকে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৮ সালে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী সভায় যোগদান করে শিল্প উপ-মন্ত্রী হন। এর আগে তিনি ১৯৮৬ সালে তৎকালিন শাহজাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১৯৯২ সালে শাহজাদপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯ সালে শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দুইবার আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।