fbpx
হোম আন্তর্জাতিক বহু কারণেই আমার নোবেল পুরস্কার জেতা উচিত: ট্রাম্প
বহু কারণেই আমার নোবেল পুরস্কার জেতা উচিত: ট্রাম্প

বহু কারণেই আমার নোবেল পুরস্কার জেতা উচিত: ট্রাম্প

0

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বহু কারণেই আমার নোবেল পুরস্কার জেতা উচিত, যদি তারা (আয়োজকরা) এটি নিরপেক্ষভাবে দেয়। কিন্তু এটি যথাযথভাবে দেওয়া হয় না। সোমবার নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

কাশ্মির সংকট নিরসনে সহায়তা করতে পারলে এর জন্য নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন। সংবাদ সম্মেলনে আগত সাংবাদিকদের মধ্য থেকে এমন আলাপ উঠার পর উপরোক্ত মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

২০০৯ সালে নিজের পূর্বসূরি বারাক ওবামা-কে কেন নোবেল দেওয়া হয়েছিল; তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, তারা ওবামাকে প্রেসিডেন্ট পদে আরোহণের সঙ্গে সঙ্গেই এ পুরস্কার দিয়েছিল। কেন তাকে এটা দেওয়া হলো সে সম্পর্কে ওবামা-র কোনও ধারণাই ছিল না। এর কারণ কি আপনাদের জানা আছে?

এদিন কাশ্মির ইস্যুতে ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে বসিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তান ও ভারত উভয়ে চাইলে কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতায় তিনি প্রস্তুত রয়েছেন।

কাশ্মির নিয়ে মধ্যস্থতায় রাজি কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, আমি যদি সাহায্য করতে পারি, তাহলে অবশ্যই তা করবো। আমি প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। এটা একটা জটিল বিষয়। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তবে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইমরান খান উভয়েই চান, তাহলে আমি তা করতে রাজি আছি। আমি মনে করি, আমি একজন ভালো মধ্যস্থতাকারী হবো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, কাশ্মির একটি জটিল বিষয়। দীর্ঘদিন ধরে এ সংকট চলে আসছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষ না চাইলে মীমাংসা করা যায় না।

ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-র সঙ্গেও তার ‘খুব ভালো সম্পর্ক’ রয়েছে। অতীতে কখনও তিনি মধ্যস্থতায় ব্যর্থ হননি এবং চাইলেই তিনি সাহায্য করবেন।

কাশ্মির নিয়ে জাতিসংঘের যে প্রস্তাব রয়েছে সে সংক্রান্ত এক প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান ট্রাম্প। এ সময় নিজের আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ চাইলে তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।

ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তানের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। তবে হোয়াইট হাউসে আমার পূর্বসূরিদের দেশটির প্রতি এমন আস্থা ছিল না। কিন্তু তারা জানতো না, তারা কী করছিল। পাশে বসা ইমরান খানকে দেখিয়ে ট্রাম্প বলেন, এই ভদ্রলোককে আমি বিশ্বাস করি। নিউ ইয়র্কে আমার বহু পাকিস্তানি বন্ধু রয়েছে যারা স্মার্ট এবং দুর্দান্ত মধ্যস্থতাকারী।

দখলকৃত কাশ্মিরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আপনি কি উদ্বিগ্ন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, অবশ্যই। আমি চাই সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করা হোক।

সূত্র: টাইম, ডন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *