প্রেমিকাকে হত্যার পর ৩৫ টুকরো করল প্রেমিক
প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে হত্যার পর ৩৫ টুকরো করার ঘটনায় আফতাব আমিন পুনওয়ালা নামের এক প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। হত্যার ছয় মাস পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরই শ্রদ্ধা হত্যার বিষয়ে একে একে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তে সংশ্লিষ্ট পুলিশ বলছে, শ্রদ্ধাকে হত্যার পর নারীদের নিয়ে ফ্লাটে আসতেন আফতাব। তবে একাধিক নারী ফ্ল্যাটে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শ্রুদ্ধাকে হত্যার পেছনে কোনো নারীর হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৮ মে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে হত্যার পর ৩৫ টুকরো করে আফতাব। তারপর ৩০০ লিটারের ফ্রিজে সেই টুকরোগুলো রাখে সে। প্রতিদিন রাত ২টায় প্রেমিকার দেহের এক বা দুই টুকরো অংশ নানা জায়গায় ফেলে আসে। এভাবে ১৮ দিনে প্রেমিকার মরদেহের সব টুকরো অংশ নানা স্থানে ছড়িয়ে দেয়।
জানা গেছে, গত এপ্রিল বা মে মাসে মুম্বাই থেকে দিল্লিতে আসেন প্রেমিক ও প্রেমিকা। তারা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। ২৬ বছর বয়সী শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। সেখান থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
মুম্বাইয়ের একটি বহুজাতিক কোম্পানির কলসেন্টারে কাজ করতেন শ্রদ্ধা। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমেই আফতাবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে মুম্বাই ছাড়েন দুজন।
ঘটনাটি তখনই সামনে আসে যখন শ্রদ্ধার বাড়িতে ফোন করেন তার বান্ধবী। শ্রদ্ধার ভাইকে বান্ধবী জানান, শ্রদ্ধার মোবাইল দুই মাস ধরে বন্ধ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সে নিষ্ক্রিয়।
নভেম্বরে শ্রদ্ধার বাবা মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেন। এছাড়া ভিকাস মাদান ওয়ালকার ৯ নভেম্বর দিল্লিতে এসে শ্রদ্ধার ফ্ল্যাট আটকানো দেখতে পারেন। এরপর তিনি অপহরণ মামলা করেন।
আটকের পর পুনওয়ালা পুলিশের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। তবে শ্রদ্ধার মরদেহের সব টুকরো এখনো পাওয়া যায়নি।