fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর ভেঙ্গে দিল দুর্বৃত্তরা
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর ভেঙ্গে দিল দুর্বৃত্তরা

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর ভেঙ্গে দিল দুর্বৃত্তরা

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের নির্মাণাধীন ঘরের ভিত রাতের আঁধারে ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তের দল।

গতকাল (১১ নভেম্বর) বুধবার দিবাগত রাতে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ঘর তৈরি করার জন্য রাখা ইট চুরি করে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে বানিয়াচং থানা নিয়ে আসা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মুস্তাক মিয়া (২৫), একই গ্রামের আবু সাঈদের উমর ফারুক (২২) ও আফতাব উদ্দিনের ছেলে ফজলু মিয়া (৫৫)।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরেই খবর পেয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হবিগঞ্জ এবং বানিয়াচং অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

খবর পেয়ে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ঘরের তিন ফুট দেয়ালের ইটের গাঁথুনী ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্তুপ করে রাখা ইটের স্তুপ থেকে ইট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ রয়েছে।

বানিয়াচং ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার ৩ নম্বর ইউনিয়নের জাতুকর্ণপাড়া মৌজার ১ নম্বর খতিয়ান ও দাগের ভূমিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের টাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদেরকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য গত সপ্তাহে কাজ শুরু করা হয়।

ঘরের কাজ শুরু করার সময়ই এলাকার কতিপয় যুবকদের প্রতিষ্ঠিত ইয়াং স্টার ক্লাব নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, সরকারী ভূমিতে সরকারী টাকায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়টি দুর্বৃত্ত চক্র সহ্য করতে পারেনি। থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছে আশা করছি প্রকৃত অপরাধীরা রেহাই পাবে না।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানা ইনচার্জ মো. এমরান হোসেন জানান, আমরা সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছি। আশা করছি দ্রুতই অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করতে পারব।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *