‘পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন কিনা, তা বাইডেন বলার কে?’
ইউক্রেনে হামলা করায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে রুশ সরকার। ক্রেমলিন বলেছে— প্রেসিডেন্ট কে থাকবেন, কে থাকবেন না সে সিদ্ধান্ত নেবে রাশিয়ার জনগণ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এনডিটিভির।
বাইডেনের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাইডেন কে? রাশিয়ার জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে ইউক্রেনের শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জো বাইডেন বলেন, পুতিন ‘ক্ষমতায় থাকতে পারেন না।’
এর ব্যাখ্যায় হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ায় সরকার পরিবর্তনের কথা জো বাইডেন বলেননি। পুতিনের মত হচ্ছে— প্রতিবেশী ও এই অঞ্চলে পুতিনের বাড়তি ক্ষমতার প্রয়োগ করা ঠিক নয়।
গত মাসের ২৪ তারিখে কিয়েভে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকেই পুতিনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ক্রেমলিন বাইডেনের মন্তব্যের জবাব দিয়ে আসছে।
এদিকে জো বাইডেন গতকাল শনিবার পোল্যান্ডে ঘোষণা করেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমাদের প্রতিরক্ষা আগামী প্রজন্মের জন্য বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রয়্যাল ক্যাসেলে এক বক্তৃতায় জো বাইডেন বলেন, ‘এ মুহূর্তের পরীক্ষা সর্বকালের পরীক্ষা।’
রয়্যাল ক্যাসেল হলো ওয়ারশর একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পরে ১৯৭০-৮০-এর দশকে করে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়।
জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ‘প্রাচীনতম মানবিক প্ররোচনার একটি উদাহরণ, যাকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা এবং সে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষা মেটানোর জন্য নৃশংস শক্তি প্রদর্শন ও বিভ্রান্তির সঙ্গে তুলনা করা চলে।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘এটি (ইউক্রেনে যুদ্ধ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রতিষ্ঠিত সব নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
ইউক্রেনীয় শরণার্থীসহ প্রায় তিন হাজার মানুষ লাইভ স্ট্রিমে বাইডেনের ওই বক্তব্য শুনতে দুর্গের বাইরে জড়ো হন।