পাঞ্জশির দখলে পাকিস্তান সাহায্য করছে তালেবানকে ?
আফগানিস্তানে পাঞ্জশির উপত্যকায় শেষ সশস্ত্র প্রতিরোধটুকুও গুঁড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতা আরো সুসংহত করতে চাইছে তালেবান। আর এই প্রচেষ্টায় পাকিস্তান তালেবানবিরোধী বাহিনীকে নিশানা করে ড্রোন হামলা চালিয়ে তালেবানকে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তান এমন অভিযোগ অস্বীকার করলেও এই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে বিবিসি।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তর-পূর্বের পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবানবিরোধী বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে তালেবান যোদ্ধারা। এই একটি প্রদেশেই তালেবানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ টিকে আছে। গত ৬ সেপ্টেম্বরে তালেবান পাঞ্জশির দখলে নেওয়ার দাবি করে জয় ঘোষণা করলেও সেখানকার তালেবানবিরোধী প্রতিরোধ বাহিনী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ) এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে তারা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তালেবানকে সহায়তা করতে পাঞ্জশির তালেবানবিরোধীদের নিশানা করে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। গত রবিবারই পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র ড্রোন নামানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আফগান এক সাংবাদিক তাজউদ্দীন সোরেশ বলেছেন, ‘পাকিস্তান ড্রোন দিয়ে আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকায় বোমা হামলা চালিয়েছে বলে তাকে জানিয়েছেন খোদ পাঞ্জশির গভর্নর কামালউদ্দিন নিজামি।’ আরো অনেকেই আকাশপথে পাঞ্জশির আক্রমণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন; যা থেকে বোঝা যায়, পাকিস্তানেরই কেবল এই হামলা চালানোর সক্ষমতা ছিল। ড্রোন হামলার এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে। বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান যে হস্তক্ষেপ করছে, এটা তারই প্রমাণ।
ইরানি ও ভারতীয় গণমাধ্যমও পাঞ্জশির যুদ্ধে পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তানি সামরিক হার্ডওয়্যার ব্যবহারের ছবি দেওয়া হয়েছে, যদিও প্রমাণস্বরূপ দেওয়া এ ছবিগুলো বিভ্রান্তিকর। পাকিস্তান এবং তালেবান উভয়ই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।