fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা পাচারকারীদের হাতেই গণধর্ষণের শিকার !
পাচারকারীদের হাতেই গণধর্ষণের শিকার !

পাচারকারীদের হাতেই গণধর্ষণের শিকার !

0

গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, যে নারীকে তারা গণধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে, তিনিও একজন বাংলাদেশি। তাকে পাচার করে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। ওল্ড মাদ্রাস রোডে রামমূর্তি নগরে তারা এই দুষ্কর্ম করে।  ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনাটি দিন ছয়েক আগে ঘটলেও বৃহস্পতিবার তাদের প্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যে চারজনকে ধরা হয়েছে, তারা হলো ২৩ বছর বয়সী সাগর, ৩০ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাবু সাহিক, ২৫ বছরের রিদয় এবং ২৩ বছরের হাকিল। প্রথম তিনজন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ও শেষজন হায়দ্রাবাদের। এই দলে একজন নারীও আছে। তবে পুলিশ তার নাম জানায়নি।

বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, অত্যাচারিতা নারীকে বাংলাদেশ থেকেই পাচার করে নিয়ে আসা হয়েছিল। ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনাটির ভিডিও করে অভিযুক্তরা সামাজিক মাধ্যমে দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, পাচার করে ওই নারীকে প্রথমে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তিনি ওই দলের হাত থেকে পালিয়ে কেরালায় চলে যান। কিন্তু তার পিছু ধাওয়া করে ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে কেরালায় গিয়ে ধরে ও আবার বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসে। তারপর এই গণধর্ষণ ও নির্যাতন হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই দলের নারী সদস্য বাকি চারজনকে নির্যাতনে সাহায্য করছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা ওই নারীর যৌনাঙ্গে বোতল ঢোকানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের পর ওই নারী পাশের রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে আনার জন্য বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল গিয়েছে।

গত সপ্তাহে ওই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। কারণ, তখন সন্দেহ করা হচ্ছিল, উত্তর পূর্বের নারী নির্যাতিতা হয়েছেন। আসাম পুলিশ অভিযুক্তদের ছবি দিয়ে টুইটও করে। সন্ধান দিলে পুরস্কারের ঘোষণাও করা হয়। উত্তর পূর্বের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজুও নেটিজেনদের কাছে আবেদন করেন, অপরাধীদের ধরার জন্য সাহায্য করতে। তবে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা বাংলাদেশের নারী।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *