পটুয়াখালীতে রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নিয়ে চলছে বিতর্ক। বিভিন্ন জায়গায় তালিকা নিয়ে হয়েছে নানা সমালোচনা । এবার পটুয়াখালীর বাউফলে একি ব্যক্তির নাম রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় থাকায় নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক ।
পটুয়াখালীর ওই ব্যক্তির নাম নাম এ বি এম আবদুল খালেক। পিতা তোজম্বর আলী। ঘোষিত রাজাকারের তালিকায় বরিশাল বিভাগের ২৮ নম্বর সিরিয়ালে তার নাম রয়েছে। এদিকে তার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকাতেও রয়েছে। চূড়ান্ত লাল মুক্তি বার্তায় আবদুল খালেকের নম্বর ০৬০৩০২০৪১৩, গেজেট নং-২০২। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও রাজাকারের তালিকায় তাঁর নাম আসায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
মুক্তিযোদ্ধা স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যায়ন পত্রে এবিএম আবদুল খালেক সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচার কাজে সহযোগিতা এবং তাদেরকে সংগঠিত করার জন্য চাকরির মায়া ত্যাগ করে বর্তমান বাউফল উপজেলা পরিষদে থাকা একমাত্র সাইক্লোস্টাইল মেশিন (ছাপা কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র) মুক্তিবাহিনীর কাছে তুলে দিয়ে গা ডাকা দেন এ বি এম আবদুল খালেক। পাক হানাদার বাহিনী তাকে খুঁজে না পেয়ে তার গ্রামের বাড়ি বাউফলের মদনপুরায় হানা দিয়ে বাড়ির পাঁচটি ঘর পুড়িয়ে ১৪ জন স্বজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে তিনি বাউফল উপজেলায় সংঘটিত যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযাদ্ধা সংসদ পটুয়াখালী জেলার সাবেক ইউনিট কমান্ডার আঃ বারেক হাওলাদার জানান, আমার জানা মতে বাউফল উপজেলার মদনপুরা এলাকায় আবদুল খালেক নামের কোন রাজাকার ছিলনা। তবে যেহেতু তিনি মুক্তিযোদ্ধার ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন সেহেতু তিনি মুক্তিযোদ্ধা।
মৃত এবিএম আবদুল খালেকের বড় ছেলে আল মামুনের দাবি, আমার বাবা একজন ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু রাজাকারের তালিকায় তার বাবার নাম কিভাবে আসলো তা জানিনা। রাজাকারের তালিকায় একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকা কতটা অপমানের তা কেবল ভূক্তভোগী পরিবার মাত্রই জানেন। দ্রুততার সাথে এই তালিকা সংশোধনের দাবি জানান তিনি ও তার পরিবার।