নিষিদ্ধ দ্বীপে দেখা মিললো বাংলাদেশের এক ‘রহস্যময়’ জাহাজের !
অনেকেরই পছন্দ নতুন কিংবা অজানাকে জানার। আবার অনেকেই রহস্যের গন্ধে ছুটে যান পৃথিবীর নানাপ্রান্তে। এমনি এক জায়গা হলো নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপ। বছরের সীমিত কিছু পর্যটক রহস্যের গন্ধে ছুটে যান ‘নিষিদ্ধ’ ওই দ্বীপে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ‘রহস্যময়’ জাহাজ!
অনলাইন ফোরাম রেডিটে ওই জাহাজের একটি ছবি নিয়ে এরইমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ কেন্দ্রিক শিহরণ জাগানো এ গল্প স্থান পাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমেও।
যে জাহাজ নিয়ে এতো আলোচনা, সেটির নাম ‘প্রাইমরোজ’। জাহাজটি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে বলে জানা যায়। নাবিকের বুদ্ধিমত্তায় জাহাজটি কোনোভাবে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে যায়। তখনই জাহাজে থাকা যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে। এ স্বস্তি কিছুক্ষণ পরই যে বিষাদে পরিণত হলো। সেদিন সকালের দিকে নাবিকসহ অন্যান্যরা দেখতে পায় যে, দ্বীপের উপজাতিরা তাদের আক্রমনের জন্য কাঠের ডিঙ্গি তৈরি করছে। সবার হাতেই স্থানীয় অস্ত্র-সরঞ্জাম। তখনই তারা সংকটাবস্থার সংকেত পাঠায় কাছাকাছি থাকা জাহাজগুলোর কাছে।
‘প্রাইমরোজ’ থেকে পাঠানো প্রথম বার্তায় নাবিকরা উল্লেখ করেন, ‘প্রায় ৫০ জন বন্য মানুষ হাতে তৈরি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের আক্রমনের জন্য ২ থেকে ৩টি কাঠের ডিঙ্গি তৈরি করছে।’ এর পরের বার্তায় লেখেন, ‘আশংকাজনকভাবে তারা সূর্যাস্ত নাগাদ আমাদের জাহাজে চলে আসতে পারে। জাহাজে থাকা নাবিকদের জীবন সংকটে।’
যতই সময় গড়াচ্ছিল, জাহাজে থাকা সবার ঘুম হারাম হয়ে যায়। নিরস্ত্র নাবকিদের কাছে উপজাতিদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য কয়েকটি ‘ফ্লেয়ার গান’ আর দা-কুঠাল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। প্রায় এক সপ্তাহ পরে ভারতীয় নৌবাহিনীর টাগবোট ও হেলিকপ্টার নাবিকসহ সবাইকে উদ্ধার করে।
কিন্তু প্রাইমরোজ দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই। জাহাজে থাকা কর্মীর গা হিম করা পরিস্থিতি জয় করে প্রাণে বাঁচলেও জাহাজটি আর আনা যায়নি। সেই জাহাজের ছবি সম্প্রতি গুগল ম্যাপের ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করেছেন এক ব্যবহারকারী।