নাগরিকত্ব বিলে অশান্ত আসাম, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
ভারতের লোকসভায় পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে আসামজুড়ে বিক্ষোভ চলছে । উত্তরপূর্বের অন্যান্য রাজ্যের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১ ঘণ্টার বনধের (ধর্মঘট) ডাক দিয়েছে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন-এনইএসও।
গতকাল রাতে লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলটি উত্থাপন করেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়ে গেলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুরা পাঁচ বছর থাকলেই ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। মূলত এ কারণেই প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলো।
এরই মধ্যে আসামের ডিব্রুগড়, জোড়হাটে বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমেছে মানুষজন। সকাল থেকেই জোরহাট, বঙ্গাইগাঁওয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সংঘাতের কথা মাথায় রেখে আসামে বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা।
নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ওরগানাইজেশনের ডাকা বনধে আজ গুয়াহাটির বহু জায়গায় দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় মানুষজনের দেখা নেই। উত্তরপূর্বের রাজ্যের বনধকে সমর্থন করছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআইসহ একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আসামের লখিমপুর ও সোনিতপুর জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এদিকে বিল পেশের পরই বিরোধীদের আক্রমণ ঠেকাতে অমিত শাহ বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কারও অধিকার ছিনিয়ে নেবে না। বিলে ভেদাভেদ হচ্ছে বলে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে এখনই এই বিল নিয়ে সংসদ ছেড়ে চলে যাব, এক শতাংশ সংখ্যালঘুবিরোধী নয় এই বিল। এই বিল পাস হলে কারও স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা স্বীকার করে কেন্দ্রীয় সরকার।’