দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে রাশিয়া
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গত আগস্টে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। এবার আরও একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।
প্রথম ভ্যাকসিনের অনুমোদনের পরই বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে রাশিয়া। কয়েক মাসের ব্যবধানেই দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের অনুমোদনের কথা জানাল দেশটি।
গত সপ্তাহেই মানবদেহে এই ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ট্রায়াল শেষ হয়েছে। মস্কোর গামালিয়া ইন্সটিটিউটের তৈরি স্পুটনিক-৫ ভ্যাকসিন গত আগস্টে অনুমোদন পাওয়ার পর এর চূড়ান্ত ধাপে কমপক্ষে ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছে।
২০টি দেশ ‘স্পুটনিক-৫’ নামে রাশিয়ার প্রথম ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী বলে সম্প্রতি রাশিয়ার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ তহবিলের (আরডিআইএফ) প্রধান নিশ্চিত করেছেন।
স্পুটনিক-৫ ভ্যাকসিনটির এখনও তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাস করা বাকি। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি এ ভ্যাকসিন রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পেয়েছে। শিগগিরই ব্যাপকহারে এর উৎপাদন শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, তার নিজের মেয়ের শরীরেই এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে এবং এতে ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তার মেয়ে এই টিকা গ্রহণের পর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেছেন পুতিন।
গত ১১ আগস্ট রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্বে প্রথম হিসেবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ এর অনুমোদন দেয়। মস্কোর মেয়র সার্গেই সোবিয়ানিন আশাপ্রকাশ করে বলেছেন, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর বেশিরভাগ বাসিন্দাকে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে।
রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার এই ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচের সরবরাহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে নিকট ভবিষ্যতে সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’ নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম বলে। সম্প্রতি মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের দিকে করোনার অন্যান্য ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রত্যাশা করছেন।