ঢাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬২১ জন। মৃত্যু ৩৪ জন। যার মধ্যে অন্তত ২৫৭ জনই ঢাকা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ জানায় যে, নারায়ণগঞ্জকে এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ভাইরাস সংক্রমণের ‘এপিসেন্টার’ মনে করা হচ্ছে। তবে ঢাকার ভেতরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নারায়ণগঞ্জে শনাক্ত হওয়ার সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
ঢাকায় কয়েকটি ক্লাস্টারে সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে কয়েকদিন আগেই জানানো হয় আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে। ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগ, বাসাবো এবং পুরনো ঢাকায় ছোট আকারের ক্লাস্টারে কমিউনিটি সংক্রমণ বা সামাজিক সংক্রমণ হচ্ছে বলে জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
ঢাকাতে ভাইরাসের প্রকোপ বেশি থাকার মধ্যে অস্বাভাবিকতা নেই বলে মন্তব্য করেন আইইডিসিআরের উপ পরিচালক নাসিমা সুলতানা।
বলেন, বিদেশ থেকে আসা অনেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকাতেই থাকেন। তাছাড়া ঢাকার বাইরেও যেসব প্রবাসী থাকেন, তাদের অনেকেই বিমানবন্দরে নেমে প্রথমে কিছুদিন ঢাকাতেই অবস্থান করেছেন। সেখান থেকেই সংস্পর্শের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটেছে বলে মনে করছি আমরা।
এএসএম আলমগীর বলেন, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াতের হিসেবে দেশের অন্য যে কোনো এলাকার চেয়ে বেশি সুবিধা রয়েছে ঢাকায়, যেটি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
করোনা ভাইরাস কোনো একটি সমতলে বেশ কিছুক্ষণ বেঁচে থাকে। অর্থাৎ কোনো একটি রিকশা, গাড়ি বা গণপরিবহনে একজন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি ভ্রমণ করলে সেখানে তা লেগে থাকতে পারে এবং পরে আরেকজন ঐ পরিবহণ ব্যবহার করলে তাকে সংক্রমিত করতে পারে বলেন তিনি।
এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে সিঁড়ির রেলিং, লিফট, এসকেলেটরেও ভাইরাস ছড়াতে পারে, যা পরে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। এছাড়া জনবহুল শহর হওয়ারও অন্যতম একটি কারণ।