ঢাকার যেখানে সেখানে পরিত্যক্ত মাস্ক ও গ্লাভসের ছড়াছড়ি
জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই ভাইরাসের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে গ্লাভসও।
এতে জনসাধারণ ‘ভাইরাসমুক্ত’ থাকতে মাস্ক-গ্লাভসের ব্যবহার বাড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু যেখানে-সেখানে এসব মেডিক্যাল সরঞ্জাম ফেলার কারণে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি’ও।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক বলেন, এসব বর্জ্য দিন দিন বাড়ছে। এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। আমরা এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে বরাবরই সচেতন করে আসছি। এর সম্পূর্ণ প্রটেকটিভ ব্যবস্থা না নিলে আমাদের পরিবেশের জন্য একসময় চরম হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, এ জাতীয় বর্জ্য সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। আক্রান্ত ব্যক্তির মাস্ক, গ্লাভস তো আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আসলে আমাদের অসচেতনতার কারণে এটি হচ্ছে। শহরের অলি-গলির কর্তাব্যক্তি, বাসাবাড়ির মালিকদের এক্ষেত্রে আরও ভূমিকা রাখতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, নির্দেশনা দেওয়া আছে, যারা এসব মেডিক্যাল সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন, পরে সেগুলো যেন নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলেন। সেগুলো যেন ঢাকনাযুক্ত অবস্থায় থাকে। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। যারা এসব বর্জ্য যেখানে-সেখানে ফেলছেন ,তারা আরেকজনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। একই সঙ্গে আমাদের যারা বর্জ্য অপসারণের দায়িত্বে আছেন তাদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন। এক্ষেত্রে সচেতনতার বিকল্প নেই।