fbpx
হোম অন্যান্য ঢাকার পর চট্টগ্রামের ছয়টি ক্লাবে অভিযান!
ঢাকার পর চট্টগ্রামের ছয়টি ক্লাবে অভিযান!

ঢাকার পর চট্টগ্রামের ছয়টি ক্লাবে অভিযান!

0

মাদক ও অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকার পর চট্টগ্রামের ছয়টি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এর মধ্যে তিনটিতে জুয়ার আসর বসতো বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব। আর পুলিশ অভিযান চালায় নগরের ফ্রেন্ডস ক্লাব, সৈনিক ক্লাব ও শতদল ক্লাবে। মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে অভিযান চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। পরে এ ক্লাব থেকে কিছু দূরে সদরঘাট এলাকার মোহামেডান ক্লাবে যায় র‌্যাবের একটি দল। ক্লাবে কার্ড ও জুয়া খেলার বিভিন্ন আলামত পান র‌্যাবের কর্মকর্তারা।

খাতা ঘেঁটে ক্লাবটিতে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত কার্ড খেলার হিসাব পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয় ঢাকায় জুয়ার আসর ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযানের পর বন্ধ রাখা হয় এই ক্লাবটিও। পরে নগরের হালিশহর এলাকার আবাহনী ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখানেও একই ধরনের আলামত মেলে। কিন্তু চলমান অভিযানের ভয়ে কয়েকদিন আগে থেকে ক্লাবটি বন্ধ রাখা হয় এবং জুয়ার বোর্ডসহ খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলা হয়। পরে আবাহনী লিমিটেডের ব্যানার সরিয়ে বাইরে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ব্যানার লাগায় সংশ্লিষ্টরা।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজামউদ্দিন বলেন, অন্য দুটি ক্লাবের মতো এখানেও একই ধরনের আলামত মিলেছে। তবে ক্লাবটিতে কেউ ছিল না। ধারণা করছি, চলমান অভিযানের কারণে তারা জুয়া বন্ধ রেখে আত্নগোপনে চল যায়।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে আবাহনী লিমিটেড ক্লাবটির পরিচালনায় আছেন আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী এমপি। নামে ক্লাব হলেও সেখানে কোনো ক্রীড়া সামগ্রী নেই। প্রতিদিনই বসতো মদ ও জুয়ার আসর । লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলতো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। টাকার বেশিরভাগ অংশ চলে যেত ঐ এমপির তহবিলে। ক্লাবটি পরিচালনায় ঐ এমপি থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করতেন যুবলীগ নেতা সালেহ আহমেদ দীঘল।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সালেহ আহমেদ দীঘল সাংবাদিকদের বলেন, যুবলীগের রাজনীতি করি বলে মাঝে-মধ্যে এই ক্লাবে আসতাম। ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণ বা অংশীদার কোনোটাই আমি ছিলাম না। ক্লাবটি সরাসরি ঐ এমপি পরিচালনা করতেন। তিনি বলেন, যুবলীগ করি বলেই কি আমার অপরাধ? এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, অনিয়ম ও জুয়ার আসর পরিচালনায় সম্পৃক্তরা যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
2

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *