fbpx
হোম জাতীয় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৫ জন
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৫ জন

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৫ জন

0

দেশে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন। ফলে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১০০ জন।

চলতি বছরে সময় অসময়ে বৃষ্টির কারণে নভেম্বর মাসেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার দিনের শেষ দিকেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এমন বৃষ্টিতে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতাল ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন অনেকেই।

দেশে যে ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালে ৯৩ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগে ৭ জন ভর্তি রয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জন রাজধানী ঢাকায় ও একজন ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারী মাসে ৫৪ জন, মার্চ মাসে ২৭ জন, এপ্রিল মাসে ২৫ জন, মে মাসে ১০ জন, জুন মাসে ২০ জন, জুলাই মাসে ২৩ জন, আগস্ট মাসে ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গু ও ডেঙ্গু সন্দেহে এ পর্যন্ত এক রোগীর মৃত্যুর তথ্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে আইইডিসিআর নিশ্চিত হয়েছে, মৃত্যুটি ডেঙ্গু জনিত নয়। তাই এ বছর এখনো কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, সাধারণত একসঙ্গে দুইটি ( কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গু) ভাইরাসের সংক্রমণ হয় না। দেশে যেহেতু করোনার সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়েছে। তাই ডেঙ্গুর সংক্রমণ অনেক হবে, তা মনে হয় না।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে শুরুর দিক থেকেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খুবই তৎপর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মশার আবাস ও প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে পারলেই এডিস মশা নিমূল করা যাবে। রাজধানীসহ সারা দেশে এডিস মশামুক্ত করতে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করতে প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুত রয়েছে।

ডেঙ্গু কার্যক্রমের উপ-কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ডা. আফসানা আলমগীর খান ডেঙ্গুর প্রজননস্থল ও প্রকোপ নিয়ে একাধিক জরিপ পরিচালনা করেছেন। তিনি বিভিন্ন জরিপের তথ্য উল্লেখ করে জানান, এডিস মশার প্রজনন এবার অনেক কম। গত বছর যেখানে আটটি মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে সেখানে এবার মাত্র দুটি পাওয়া গেছে। ডেঙ্গু মৌসুম নিয়ে শুরুর দিকে আতঙ্ক ছিল। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও আতঙ্ক নেই।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *