টানা তিনদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক,নিহত ২৪
বেকারত্ব, দুর্নীতি নির্মূল এবং সরকারি চাকরির দাবিতে উত্তাল ইরাক। টানা তিনদিন ধরে চলা এ বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একজন পুলিশসহ নিহত হয়েছেন মোট ১২ জন।
বৃহস্পতিবার ইরাকের নাসিরিয়া শহরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পুলিশের একজন সদস্য ও ৭ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। একইদিনে দেশটির আরেক শহর আমারাতে বিক্ষোভকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
এর আগে গতকাল রাজধানী বাগদাদে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন। বেকারত্ব, দুর্নীতি নির্মূল এবং সরকারি চাকরির দাবিতে বুধবার রাজধানী বাগদাদের রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। রাজধানীতে মিছিল করে তারা তাহরির স্কয়ারে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান তোলেন। অনেকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহের পদত্যাগের দাবিও তোলেন।
বিক্ষোভ ঠেকাতে দাঙ্গা পুলিশ নামায় সরকার। তারা কাঁদুনে গ্যাস ছুঁড়ে এবং ব্যরিকেড তৈরি করে বিক্ষোভকারীদের বাঁধা দিতে চেষ্টা করে। কয়েকজন ব্যারিকেড ভেঙে সামনে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ অবশেষে গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া আরও ৬ জনের আহত হওয়ার খবর জানা যায়।
পরে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদির নির্দেশে বাগদাদ জুড়ে কারফিউ জারি করে ইরাক সরকার। সরকার পতনের দাবিতে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ হয় রাজধানী বাগদাদসহ ইরাকের কয়েকটি শহরে। ওই দিন নিরাপত্তা বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত ও দুইশ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন।
রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য টেলিগ্রাফ