fbpx
হোম জাতীয় ঝুঁকি নিয়েই ছুটছে মানুষ
ঝুঁকি নিয়েই ছুটছে মানুষ

ঝুঁকি নিয়েই ছুটছে মানুষ

0

করোনাভাইরাস সংক্রমণসহ নানা ঝুঁকি নিয়েই ঈদে বাড়ি ফিরছে মানুষ। শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফেরার তাড়া সর্বত্র। বাস, লঞ্চ, ট্রেনে করে সবাই যাচ্ছেন যার যার গন্তব্যে। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। রাজধানীর গণপরিবহনেও দেখা গেছে গাদাগাদি করে মানুষ চলাচল করছেন। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল সোমবার। প্রতিটি লঞ্চে গাদাগাদি করে উঠেছেন যাত্রীরা। তাদের অনেকেই মানেননি স্বাস্থ্যবিধি।

তবে ঢাকা নদীবন্দর ও লঞ্চ মালিকদের দাবি, তারা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তদারকি করছেন। যাত্রীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মাইকিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ বাড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সকাল থেকে বন্দরের প্রতিটি পন্টুনে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চের শিডিউল না মানার অভিযোগ ছিল যাত্রীদের।
বরিশালগামী লঞ্চের যাত্রী আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, লঞ্চ থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে সন্ধ্যা ৬টার পরিবর্তে সকাল ৮টায় লঞ্চ ছেড়ে দেবে। এর মধ্যে যাত্রী এসে লঞ্চ ভরে গেছে। কিন্তু এরপরও লঞ্চ ছাড়েনি। সেই লঞ্চ ছেড়েছে সকাল ১০টায়। কোথাও পা রাখার জায়গা নেই। অনেক যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। এই চিত্র দেখা গেছে বরিশালগামী সব লঞ্চের। প্রতিটি লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাত্রা করেছে। লঞ্চগুলোর সিঁড়ি থেকে শুরু করে ডেক ও ছাদসহ সব স্থানে ছিল যাত্রী।

লঞ্চ ও বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেলেও ট্রেনের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। গতকাল সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। প্রতিটি ট্রেনই অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গন্তব্যে ছুটছে। স্টেশনের প্রবেশপথেও যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগানো হয়েছে, মাপা হয়েছে শরীরের তাপমাত্রা। আন্তঃনগরের কোনো ট্রেনেই টিকিট ছাড়া যাত্রী উঠতে দেয়া হয়নি। তবে বেসরকারিভাবে চলাচলরত কমিউটার ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার অভিযোগ ছিল। পাশাপাশি আসনেরও টিকিটি বিক্রি করা হয়েছে। এই ট্রেনগুলো সব স্টেশনে থামার কারণে অতিরিক্ত যাত্রী জোর করে ট্রেনগুলোতে উঠে যান বলে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *