জামায়াতের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালো এবি পার্টি
এবি পার্টির নেতাকর্মীদের পরিপূর্ণভাবে দ্বীনের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেয়ায় তার প্রতিবাদ জানালো নতুন রাজনৈতিক দল এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টি।
দলের মুখপাত্র এবিএম খালিদ হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানান।
এবি পার্টি জানায়, জামায়াতের আমীর জনাব শফিকুর রহমান এবি পার্টির লোকদের ‘আল্লাহ যেন দ্বীনের পথে আবার পরিপূর্ণ ভাবে ফিরাইয়া আনেন’ এই দোয়া করার আহ্বান জানানোয় এবং প্রাসঙ্গিকভাবে ‘মুসলমানের জীবন কখনো খন্ডিত হতে পারেনা’ বলায় এটা মনে হয়েছে যে তিনি এবি পার্টির লোকদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত এবং খন্ডিত মুসলমান মনে করেন। আমরা তাঁর মত সম্মানিত ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের বিভেদ ও অপরাজনীতিমূলক আচরণে ব্যথিত। এরকম রাজনৈতিক চর্চা চালু হলে প্রত্যেক দলই একে অপর দলের জন্য হেদায়াতের পথে আসার, পরিপূর্ণ মুসলমান হবার জন্য দোয়া করতে থাকবে। যা এক ধরনের অসুস্থ সংস্কৃতির জন্ম দেবে এবং মূলত: ধর্মেরই অবমাননা হবে।
এছাড়াও তারা জানায়, এবি পার্টি প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব ডা. শফিকুর রহমানের একটি ভিডিও ক্লিপে জামায়েতের আমীর বলেন, মে মাসের ২ তারিখে এবি পার্টি গঠনকালীন তারা তাদের দলীয় মেনিফেস্টো ঘোষনার সময় বলেছেন- এবি পার্টির নীতি ও কর্মকৌশল হবে তিনটা জিনিষের উপর ভিত্তি করে সাম্য, সামাজিক সুবিচার ও মানবাধিকার। এটার উপরে তারা কাজ করবেন। তারা তাদের সেশনে পরিস্কার করে বলেছে যে, তাদের কর্মসূচিতে তাদের এজেন্ডায় ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধের এই চ্যাপ্টার থাকবেনা। এটাকে বাদ দিয়েই হবে তাদের সবকিছু।
জনাব শফিকুর রহমানের এই বক্তব্যে প্রদত্ত তথ্য ভুল, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে এবি পার্টি জানায়, এবি পার্টি ২মে তারিখে দলের যে ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষনা করেছে তার প্রথম দফা হলো ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা’। যেখানে বলা হয়েছে “বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যকার বিভেদ ও বিভাজন সৃষ্টিকারী সকল মত ও পথ পরিহার করে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে উল্লেখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিন মূলনীতির ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।
তারা জানায়, -এবি পার্টির তৃতীয় দফা কর্মসূচি হলো ‘প্রেরণা সৃষ্টি’ যাতে বলা হয়েছে- “দেশপ্রেম, নৈতিক দৃঢ়তা, সুশাসন, ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মতৎপরতা পরিচালনা।’
তারা আরও জানায়, ‘একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে জনাব ডা. শফিকুর রহমান ও তাঁর অনুসারীদের নিকট থেকে আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও শিষ্ঠাচার প্রত্যাশা করি। আশাকরি তিনি ও তাঁর দলের কর্মীরা এ ব্যপারে সততা ও পরমত সহিষ্ণুতার স্বাক্ষর রাখবেন।’