fbpx
হোম রাজনীতি জাফরুল্লাহকে বয়কটের সিদ্ধান্ত বিএনপির
জাফরুল্লাহকে বয়কটের সিদ্ধান্ত বিএনপির

জাফরুল্লাহকে বয়কটের সিদ্ধান্ত বিএনপির

0

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির। দলটির শুভাকাক্সক্ষী বলে পরিচিত এ ব্যক্তির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সন্দেহের চোখে দেখছে হাইকমান্ড। সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্যের পেছনে তিনি এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলেও মনে করা হচ্ছে। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এ দূরত্ব তৈরি হয়। সদ্য নির্বাচন কমিশন গঠনকে কেন্দ্র করে তা চরমে পৌঁছায়।

বিশেষ করে সার্চ কমিটিতে নাম দেওয়া এবং ইসি গঠনের পর ইতিবাচক মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ হয় বিএনপি। এ অবস্থায় দলের হাইকমান্ড জাফরুল্লাহকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির কোনো অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ না জানানো এবং উনি কোনো অনুষ্ঠানে থাকলে সেখানে নেতাকর্মীদের না যেতে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়। ইসি নিয়ে তার ভূমিকার পর জাফরুল্লাহকে পুরোপুরি বর্জন করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দলের একটি অংশ মনে করছে, জাফরুল্লাহ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সমাজে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাকে এভাবে এড়িয়ে চলা উচিত হবে না। প্রকাশ্যে এভাবে বিরোধ বাড়লে দলই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।

জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, আমি থাকলে বিএনপি নেতারা অনুষ্ঠানে আসবে না বা আমাকে বর্জন করবে, সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তারা যদি মনে করে আমি থাকলে অসুবিধা হতে পারে, তাহলে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্নতার কারণে বিএনপি তাদের ভুল বুঝতে পারছে না। অনুধাবন করতে পারছে না কে তাদের বন্ধু আর কে শত্রু।

জাফরুল্লাহকে বয়কটের সিদ্ধান্তের পর বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জেএসডি আয়োজিত জাতীয় পতাকা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে যাননি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন। একই অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনেকেই ধারণা করছেন এ কারণেই আসেননি বিএনপি মহাসচিব। যদিও মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠ এক নেতা যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে বিএনপি মহাসচিব শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করছেন। অসুস্থতার কারণেই তিনি অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি।

জেএসডির অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব উপস্থিত না হওয়ায় সেখানে নানা ধরনের আলোচনা হয়। সভায় নাগিরক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না তার বক্তব্যে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজকের (বুধবার) অনুষ্ঠানের ইনভাইটেশন কার্ডে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও মির্জা ফখরুল ইসলামের নাম লেখা। এ দুটো জিনিস একসঙ্গে যাবে নাকি। বহুদিন ধরে দেখছি, যায় না। তিনি বলেন, আমি জানি না ফখরুল সাহেব কেন আসেননি। উনি অসুস্থতার কথা বলছেন, হয়তো এজন্যই আসেননি। বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মান্না বলেন, ধরেন আওয়ামী লীগ চলে গেল, ভোট হলে আপনারা ক্ষমতায় আসবেন? তিনি বলেন, লড়াই যখন শুরু করছি, সেই লড়াইয়ের মাধ্যমে যাতে জনগণের অধিকার যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেজন্য জাফরুল্লাহর পরামর্শ নিতে হবে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *