জনগণকে সম্পৃক্ত করাই বিএনপির চ্যালেঞ্জ
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনের কৌশল চূড়ান্তে ব্যস্ত বিএনপি। নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীদের সেই আন্দোলনে পাশে চায় দলটি। বিশেষ করে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ ইস্যুতে বসবেন তারা।
ইতোমধ্যে দলটির বিভিন্ন স্তরের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছে হাইকমান্ড। আর গণআন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় করা কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু রাজপথের সেই আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারবে কিনা-তা নিয়ে দলের ভেতর ও বাইরে চলছে আলোচনা। এ নিয়ে বেশ চিন্তিত বিএনপির নীতিনির্ধারকরাও।
তাদের মতে, আন্দোলন নিয়ে অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সারা দেশে নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় থাকলেও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে আন্দোলনে আসেনি চূড়ান্ত সফলতা। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এবারও দাবি আদায় করা সম্ভব হবে না। তাই সব শ্রেণি-পেশা ও সাধারণ মানুষকে আস্থায় আনাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন তারা।
নীতিনির্ধারকরা আরও জানান, অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের আন্দোলনে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সবাইকে সম্পৃক্ত করতে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। রাজপথে নামার আগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরা হবে। এ ইস্যুতে সভা-সেমিনারসহ বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি সরকারের নানা ব্যর্থতা তুলে ধরে তৈরি করা হবে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। যা পৌঁছে দেওয়া হবে সারা দেশের আনাচে-কানাচে। বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষ যাতে আস্থা আনতে পারে সেজন্য দেশের বিভিন্ন পেশার গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের কাজে লাগানোর চিন্তাও করা হচ্ছে। জনগণের মৌলিক দাবিতেই বিএনপি রাজপথে নামছে-তাদের মাধ্যমে দেওয়া হবে এমন বার্তা।