চীনে মুসলিমদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করা হচ্ছে
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ‘এপির’ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, জন্মহার কমানোর নামে চরম নির্মমতা চালাচ্ছে চীনা প্রশাসন। যা গণহত্যার শামিল বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনে নির্যাতনের শিকার উইঘুর মুসলিমদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করছে দেশটির সরকার। করা হচ্ছে জোরপূর্বক গর্ভপাত। যেন মুসলিমদের সংখ্যা না বাড়তে পারে দেশটিতে।
দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধ্য করছে শি জিন পিং সরকার। অঞ্চলটিতে মুসলিমদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জোরপূর্বক ঘটানো হচ্ছে গর্ভপাত। এসব তথ্য উঠে এসেছে বার্তা সংখ্যা এপির অনুসন্ধানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সারাদেশে যেখানে জন্মহার কমেছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। সেখানে জিনজিয়াং প্রদেশে এই হার ২৪ শতাংশ।
একজন উইঘুর নারী বলেন, ২০১৫ সালে যখন আমি ৩য় বাচ্চার জন্ম দেই, তখন আমার কাছে প্রয়োজনীয় সব কাগজ পত্র ছিলো। যেখানে সরকারের অনুমোদন ছিলো। তারপরও আমার স্বামীকে তারা আটক করে নিয়ে যায়। আমাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গোপনে কেউ সন্তান জন্ম দিচ্ছে কিনা এমন সন্দেহে চালানো হচ্ছে অভিযান। গণহারে প্রেগনেন্সি পরীক্ষাও করা হচ্ছে। এমনকি তিন সন্তান জন্মের তথ্য জানলেই গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের জরিমানা।
এদিকে একেবারে উল্টো চিত্র অন্যান্য শহরে। জন্মহার বাড়াতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে স্থানীয়দের। সেখানে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর এমন নির্মমতাকে গণহত্যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।