fbpx
হোম আন্তর্জাতিক চীনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম
চীনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম

চীনের সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম

0

১৯৬২ সালের জুলাই মাসেও গালওয়ান থেকে প্রাথমিকভাবে পিছু হঠে চীনা সেনারা। তবে তা স্থায়ী হয়নি। সে ঘটনার মাত্র মাস তিনেক পরেই চীন পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু করেছিল- ইতিহাসের সেই অভিজ্ঞতাই ভারতকে এবার সাবধানী করে তুলেছে। এ প্রসঙ্গে ১৯৬২ সালের একটি সংবাদপত্রের খবরের স্ক্রিনশটও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে।

সম্প্রতি লাদাখ থেকে চীনা বাহিনী ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ বা সৈন্য প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করলেও ভারত এখনও তাতে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না এবং পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখছে।

১৯৬২ সালের জুলাই মাসের একটি ভারতীয় পত্রিকার শিরোনামও ইতিমধ্যে সে দেশে ভাইরাল হয়ে উঠেছে – যা এখন ভারতের জন্য সতর্কবাণীর কাজ করছে।

ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তারাও বলছেন, সীমান্তে সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে চীনকে বিশ্বাস করা আসলে প্রায় ‘অসম্ভব’।

কী রয়েছে সেই ১৯৬২ সালের পত্রিকায়? সে সময় ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকাতে বিরাট শিরোনাম হয়েছিল ‘গালওয়ান পোস্ট থেকে চীনের সৈন্য প্রত্যাহার’। বলা হয়েছিল- দিল্লির হুঁশিয়ারিতেই এটা সম্ভব হয়েছে। ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছিল ভারতীয় সেনাদের সাহসিকতারও।

চীনা সেনা প্রত্যাহারের ঠিক ৯৬ দিনের মাথায় সে বছরেরই ২০শে অক্টোবর চীন-ভারতের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, আর তারও সূচনা হয় সেই গালওয়ান থেকেই।

এবারেও চীন ও ভারতের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর অবশেষে গালওয়ান ও পার্শ্ববর্তী গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকা থেকে চীনা সৈন্য অবশেষে পিছু হঠতে শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু বাষট্টির সেই অভিজ্ঞতাই ভারতকে কিছুতেই নিশ্চিন্ত থাকতে দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে দিল্লিতে স্ট্র্যাটেজিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ভিআইএফের সিনিয়র ফেলো শ্রীরাধা দত্ত বিবিসিকে বলেছেন, “এবারেও আমরা বারবার দেখছি গালওয়ানে ডিসএনগেজমেন্টের ব্যাপারে সমঝোতা হওয়ার পরও চীন নতুন করে সামরিক স্থাপনা তৈরি করছে, আবার সেনা রিএনফোর্সমেন্ট নিয়ে আসছে।”

তিনি বলেন, “ফলে যে শর্তে সমঝোতা হয়েছে সেটা চীন মেনে চলবে এমন কোনও ভরসা কিন্তু পাওয়া যায়নি। গালওয়ানে হয়তো এক পা পিছিয়েছে, কিন্তু প্যাংগং সো-তে আবার দু-পা এগিয়ে এসেছে।”

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *