fbpx
হোম অন্যান্য চীনের মহাপ্রাচীর নাকি আঠালো ভাতে তৈরি ! রইল মজার তথ্য…
চীনের মহাপ্রাচীর নাকি আঠালো ভাতে তৈরি ! রইল মজার তথ্য…

চীনের মহাপ্রাচীর নাকি আঠালো ভাতে তৈরি ! রইল মজার তথ্য…

0

ভ্রমণপিপাসুরা সবসময়ই পৃথিবীর আনাচে-কানাচের খবর জানতে চান। বিভিন্ন দেশ, জাতি, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ কমবেশি সবার মনেই আছে। তবে বিভিন্ন পর্যটনীয় স্থানের নাড়ি-নক্ষত্র সম্পর্কে জানার আগ্রহ ভ্রমণপিপাসুদের মনেই সবচেয়ে বেশি। আজ তেমনই কয়েকটি স্থানের মজার কিছু তথ্য সম্পর্কে জানাবো যা জানলে আপনি অবাক হবেন বৈ-কি! মজার কিছু তথ্য নিয়েই আজকের লেখা-

* প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবনের কাছাকাছি বা তীরে জার্মানির যেসব শহরের অবস্থান, সেগুলোর নাম শুরু হয় ‘বাড’ (স্নান বা স্পা) দিয়ে। পশ্চিম জার্মানির বৃহৎ শহর আখেন। প্রাচীনকাল থেকেই এটি প্রাকৃতিক উষ্ণ পানির জন্য বিখ্যাত। এমনকি রোমানরাও এই শহরে আসতেন গরম পানিতে গোসল সারতে। তবে নামের আগে বাড ব্যবহার করে না ‘আখেন’ শহরটি। কারণ এতে বর্ণমালা অনুযায়ী শহরের তালিকায় সবার উপরে থাকা হবে না শহরটির।

* ইউরোপের শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ নামের অধিকারী ওয়েলসের (Llanfairpwllgwyngyllgogerychwyrndrobwllllantysiliogogogoch৷) এর অর্থ ‘সুইফট এডির সাদা হ্যাজেলনাট এবং লাল গুহার নিকটবর্তী থিসিলির চার্চের মাঝখানে অবস্থিত সেইন্ট মেরির চার্চ’।

* যেদিক থেকেই বিবেচনা করা হোক না কেন বিশ্বের অবাক করা স্থাপনায় উপরের দিকে থাকবে চীনের মহাপ্রাচীর। তবে জানেন কি? এর দেয়ালের কংক্রিটের মিশ্রণে আঠালো ভাত ব্যবহার করা হয়েছিল? ১৫০০ বছর আগে চীনে মন্দির, প্যাগোডা, প্রাচীরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে এমন রেওয়াজ চালু ছিল। এ কারণে এসব স্থাপনা আজো অক্ষত আছে বলে মনে করা হয়।

* প্যারিস মানেই আইফেল টাওয়ার। এটিই সেখানকার প্রধান আকর্ষণ। এর আকার কিন্তু সারা বছর এক থাকে না৷। গ্রীষ্মে আইফেল টাওয়ারের কাঠামোর ব্যাপ্তি ১৫ সেন্টিমটার বা ছয় ইঞ্চি বেড়ে যায়। শুধু আইফেল টাওয়ারই নয় যে-কোনো ইস্পাত কাঠামোর ক্ষেত্রেই তাপমাত্রার সঙ্গে আকারের তারতম্য ঘটে।

* ইতালিতে গেলে পর্যটকরা পিসার হেলানো টাওয়ারের সঙ্গে ছবি তুলতে ভোলেন না। এটি নির্মাণ করা হয়েছিল প্রাচীন বন্দর অববাহিকার বালুর উপরে। শুরুতে সোজা থাকলেও উঁচু করার সঙ্গে ধীরে ধীরে ভবনটি হেলে পড়তে শুরু করে, যা এখনো ঘটে চলছে। বলা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে ২৩০০ সালে ধ্বসে পড়বে পিসার হেলানো টাওয়ার।

* অনেক স্কুলে এখনো ল্যাটিন শেখানো হয়। তবে ভাষাটি প্রায় মৃত। যারা শিখেছেন তারা এটি কাজে লাগাতে পারেন ভ্যাটিকান সিটিতে গেলে। কেননা বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এই রাষ্ট্রেই শুধু আনুষ্ঠানিক ভাষা ল্যাটিন। সেখানকার এটিএমগুলোতেও পাবেন ল্যাটিন ভাষার ব্যবহার।

* সেতুর শহর বললে কেউ আমস্টার্ডাম কেউবা ভেনিসের কথা ভাববেন। তবে তার চেয়েও সংখ্যায় বেশি সেতুর শহর জার্মানির হামবুর্গ। নানারকমের আড়াই হাজার সেতু রয়েছে এই বন্দর নগরীতে। শহরের ভেতর দিয়ে হাঁটতে গেলে এর কোনো না কোনোটি আপনাকে পার হতেই হবে।

* রূপকথার ‘এলফ’ আর ‘ট্রল’-এর কোনো অস্তিত্ব ছিল! আইসল্যান্ডের মানুষেরা কিন্তু তেমনটাই বিশ্বাস করে। এমনকি এখনো জনগোষ্ঠীর একটি অংশ মনে করে, এই চরিত্ররা সত্যিই আছে। দেশটির সরকারে একসময় এই বিষয়ক একজন উপদেষ্টাও ছিলেন। তবে অবাক করা প্রকৃতির দেশ আইসল্যান্ডের মানুষের ‘এলফ’ আর ‘ট্রল’-এর মতো জীবে বিশ্বাস থাকা খুব একটা অবাক করা নয়।

* কল্পিত ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা বা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখায় বিশ্বের অনেক দেশ আর দ্বীপেরই অবস্থান। তারই একটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ফিজির দ্বীপ তাভেউনি। সেখানে এই রেখাটির উপর নির্ভর করে আপনার ঘড়িতে দিনেরও তারতম্য ঘটবে। অর্থাৎ মাত্র একটি পদক্ষেপে একদিন আগে অথবা একদিন পরে চলে যেতে পারেন আপনি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *