চমেকের ডাক্তার নার্সদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিতঃ নাছির উদ্দিন
১৩শ’ শয্যার চমেক হাসপাতালে প্রতিদিন ওয়ার্ড ও আউটডোর মিলে ৬-৭ হাজার রোগী, সবাইকে সেবা দিতে হয়। এটা কি স্বাভাবিক বিষয়! যেসব ডাক্তার-নার্স এ সেবা দিচ্ছেন তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত বলে মনে করি। এখানে জনবল কাঠামোর তুলনায় চিকিৎসক, নার্স, কর্মীর সংকট আছে।
আজ (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) হৃদরোগ বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিট ‘সিসিইউ-২’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ধারণার ওপর নির্ভর করে সংবাদ পরিবেশন করা আমি মনে করি অস্বাভাবিক। এর দ্বারা মানুষের কাছে ভুল ম্যাসেজ যাচ্ছে। ডাক্তারদের ওপর চাপ তৈরি হয়। যদি শতভাগ নিশ্চিত হন তবে একজন নির্দিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা যায়। ঢালাওভাবে সব ডাক্তারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত নয়। বিত্তশালী ধনবান ছাড়া বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করার সামর্থ্য আছে কতজনের। বেশিরভাগ মানুষদের এদেশের চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করতে হয়। বড় খেলোয়াড়রা সব ম্যাচে ভালো খেলতে পারে না। কারণ স্নায়ুচাপ। একজন ডাক্তার যদি রোগীর সেবা দিতে গিয়ে চাপ অনুভব করেন তবে ভুল চিকিৎসা হতে পারে।
তিনি বলেন, তাহের ব্রাদার্স সিসিইউ-২ ইউনিটে ১৫ শয্যা দিয়েছেন। চমেক হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতি অত্যন্ত নিবেদিত। সমিতির কার্যক্রম গতিশীল ও বেগবান করতে তৎপর। হতদরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত রোগীদের কল্যাণে কাজ করছে। ওনারা তৎপর না থাকলে গরিবদের সেবা দেওয়া সম্ভব হতো না। আমি এ শহরের আদিবাসী। এখন ৬৩ বছরে পদার্পণ করেছি। আগে রোগী কল্যাণ সমিতি ছিল নামে, এখন কাজে পাওয়া যায়।
চমেক হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগ ও রোগী কল্যাণ সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. প্রবীর কুমার দাশ, ডা. বাসনা মুহুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, রোগী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি ডা. তৈয়ব সিকদার, তাহের ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বশর, পরিচালক মুনতাসির মামুন, চমেক হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা অভিজিৎ সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মেয়র সিসিইউতে আরেকটি শয্যা অনুদানের ঘোষণা দেন। সব শেষে রোগী কল্যাণ সমিতির ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন মেয়র।