গণধর্ষণের অভিযোগ; বিচারে অভিযুক্তদের জরিমানা ৯ হাজার টাকা !
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বাড়ী ফেরার পথে নির্জন এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। ওই নারীর বাড়ি পাটগ্রাম পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে।
অভিযোগে জানা যায়, পৌরবাজার থেকে বাজার করে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে গত ২১ মার্চ সন্ধ্যার পরে এঘটনা ঘটে। ধরলা নদীর বুলবুলের ঘাট পার হওয়ার পর এলাকার ৫/৬ জন বখাটে ওই নারীর মুখ চেপে অস্ত্রের মুখে বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান। সেখানে তারা জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে জানান ভুক্তভোগী নারী।
একান্ত আলাপে জানা যায়, পরদিন বাবার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল হওয়ার কারণে মেডিকেলে ভর্তি হননি তিনি। এলাকায় এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগী নারীর ঘর-বাড়ী ভাংচুর করেন বখাটে ধর্ষণকারীরা।
তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাসকারী ওই নারী গ্রাম্য মাতব্বরদের না জানিয়ে মামলা করলে হুমকি প্রদান করা হয় বলে ভুক্তভোগী ওই মহিলা ঢাকায় এক মিডিয়া হাউজে ফোন করে এসব খুলে বলেন। এরপর স্থানীয় সাংবাদিক সেটির অনুসন্ধান শুরু করেন। ঘটনার পর থেকে অপরাধীরা অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি নিয়ে এতদিনেও কেন মামলা হয়নি, হাসপাতালে কেন ভর্তি হননি এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী জানান, গ্রামের কয়েকজন দোয়ানী মামলা করতে দেননি। তারা বিচার করে অভিযুক্ত ৬ জনের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা নিয়ে দেন।
তিনি আরও জানান, অভাবী সংসারের কারণে তার স্বামী ঢাকায় থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় এই নারী ও তার পরিবার ধর্ষণকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন। এসময় ধর্ষণকারীদের পরিচয়ও প্রকাশ করেন তিনি।
তবে ওই নারী ঘটনার কয়েকদিন পর থানায় যান। ঘটনা সত্য হলে গণধর্ষণের মত গুরুতর অভিযোগে হাসপাতালে ভর্তি হননি কেন এমন প্রশ্ন করা হয় বলে জানান ওই নারী। এবিষয়ে পাটগ্রাম থানা ওসি সুমন কুমার মহন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি খোঁজখবর নেবেন এমনটা জানা গেছে।