fbpx
হোম অন্যান্য ক্লিনিকের বিল পরিশোধের সামর্থ্য নেই, অতঃপর সন্তানকে বিক্রি করলেন মা
ক্লিনিকের বিল পরিশোধের সামর্থ্য নেই, অতঃপর সন্তানকে বিক্রি করলেন মা

ক্লিনিকের বিল পরিশোধের সামর্থ্য নেই, অতঃপর সন্তানকে বিক্রি করলেন মা

0

ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেয়া এক নবজাতককে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। সিজারিয়ান অপারেশনের ১৬ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করার সামর্থ্য না থাকায় আদরের সন্তানকে বিক্রি করে দেন বাবা-মা। এরপর কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি যান তারা। গাইবান্ধা শহরের যমুনা ক্লিনিকে ১৭ সেপ্টেম্বর ঘটা এই হৃদয় বিদারক ঘটনার বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নবজাতককে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়ার পর শিশুটির লালন-পালনের দায়িত্ব নিয়েছেন গাইবান্ধার ডিসি আব্দুল মতিন।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিশুটির মা আঙ্গুরি বেগম ও তার সন্তানের চিকিৎসাসহ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউপির শোলাগাড়ি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে এসব সহায়তা দেন ডিসি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর ইউএনও প্রসুন কুমার চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুর রহমান, পিআইও আনিছুর রহমান ও গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আবেদুর রহমান স্বপন প্রমুখ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউপির শোলাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমের প্রসবব্যথা উঠলে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ১৩ সেপ্টেম্বর শহরের যমুনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনে কন্যাসন্তান জন্ম দেন আমেনা। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্লিনিকে ভর্তি থাকেন তিনি। রিলিজের সময় ক্লিনিকের বিল আসে ১৬ হাজার টাকা। ওই টাকা পরিশোধ করার সামর্থ্য ছিল না শাহজাহান মিয়ার। এ অবস্থায় নবজাতককে সাদুল্লাপুর উপজেলার মনোহোরপুর গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করেন। কিন্তু সন্তান বিক্রির পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন মা। অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে প্রতিদিন কাঁদছিলেন ওই মা। শনিবার বিকেলে গাইবান্ধার ডিসি মো. আবদুল মতিন বিষয়টি জানতে পারেন। পরে ইউএনও প্রসুন কুমার চক্রবর্তী ও এনডিসি এসএম ফয়েজ উদ্দিনকে সন্তান বিক্রি করা মা-বাবার কাছে পাঠান। পরে তাদের কাছ থেকে সন্তান গ্রহণকারীর পরিচয় জেনে ওইদিন রাতে সন্তানটিকে তাদের জিম্মায় নেন। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তান গ্রহণকারী ব্যক্তির ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়। সেখান থেকে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে মায়ের কোলে তুলে দেন। এরপর বুধবার তাদের সহায়তা দেয়া হয়।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
1

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *