কোরবানির টাকা বন্যার্তদের বিলিয়ে দেবেন অনন্ত জলিল
ইতোমধ্যেই উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে সেখানকার মানুষজন। ক্রমশ অবনতি ঘটছে পরিস্থিতির। এরইমধ্যে বাংলাদেশের নামকরা সেলিব্রিটিরা এগিয়ে আসছেন যে যার মতো করে।
এবার সেই বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও ঢাকাই সিনেমার চলচ্চিত্র তারকা অনন্ত জলিল। বন্যার্তদের সহায়তায় তিনি নিয়েছেন এক ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ। শনিবার (১৮ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই উদ্যোগটির কথা জানান।
সেই ভিডিওতে অনন্ত জলিল বলেন, ‘সিলেটের বন্যার ভয়াবহতার কারণে এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১০-১২টা গরু কোরবানি না দিয়ে শুধুমাত্র ১টা বা দুইটি গরু কোরবানি দেবো। এই কোরবানির যত টাকা আছে তা দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো। শুধু কোরবানির টাকাই না, আমার ব্যবসার টাকা এবং আমি যে মুভি (দিন: দ্য ডে) মুক্তি দিচ্ছি, সেটা থেকেও টাকা আসবে- সবকিছু দিয়েই সিলেটের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন যেখানে দুর্যোগ হয় আমি পাশে দাঁড়াই। আমাদের যাদের অর্থ-কড়ি আছে, আমরা কেউ টাকা কবরে নিয়ে যেতে পারব না। আমরা যেটা আয় করি সেটা মানুষের কাজে খরচ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ আপনি-আমি একদিন পৃথিবীতে থাকব না। আমরা নিজেরা ভোগ না করে, যদি মানুষের কল্যাণে টাকা খরচ করতে পারি, তাহলে আল্লাহ্ আমাদের এই দান কবুল করবেন। মরার পর আমাদের পাশে মানুষের দোয়া ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। যে যতটুকু পারেন মানুষের পাশে দাঁড়ান। সবাই মিলে একটু একটু করলেও তাদের অনেক সহায়তা হবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘দিন দ্য ডে’। এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নী করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক।
বাংলাদেশ থেকে যারা প্রবাসে যান, তারা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন। বাংলাদেশ, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরান এই চার দেশ মিলিয়ে ‘দিন দ্য ডে’ সিনেমায় উঠে আসবে সেই সব লোহমর্ষক প্রেক্ষাপট।
ইরানের নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজমের পরিচালনায় এতে আন্তর্জাতিক সংস্থার পুলিশ অফিসারের চরিত্রে পর্দায় হাজির হবেন অনন্ত জলিল। নানা রকম ভুল মতবাদে আসক্ত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে দমন অভিযানে অংশ নেবেন তিনি। এতে ইসলাম ধর্মের সঠিক ও সুন্দর বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই সিনেমাটিতে নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন অনন্ত জলিল। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও ইরানের অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেছেন।