fbpx
হোম জাতীয় কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়: প্রধানমন্ত্রী
কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়: প্রধানমন্ত্রী

কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়: প্রধানমন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন মানুষের জন্য সবচেয়ে কষ্টকর হচ্ছে দ্রব্যমূল্য। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, আমরা সেটা কমিয়ে এনেছি। কিছু কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। তবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে, এটাও সত্যি কথা। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের এবং ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র থামেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ভোটে সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ আওয়ামী লীগ করবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী আছে তারা করে। সামনে রোজা, মানুষ যেন কষ্ট না পায়। সেজন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। মূল্যস্ফীতি যাতে হ্রাস পায় তার জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। সারাবিশ্বে অর্থনীতি মন্দা। কিন্তু আমাদের দেশে যেমন এমন পরিস্থিতি না হয়, সেই চেষ্টাটা করবো। আমাদের অন্তত চাল কিনতে হবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির দুই কাজ, দুর্নীতি ও মানুষ খুন করা। তাদের দলীয় প্রধানও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড পেয়েছেন। তবে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। কারণ জনগণের ভোটে আমরা সরকার গঠন করেছি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আমরা পেয়েছি। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। এটাই স্বাভাবিক। জনগণের ভোটে চুরি করা। এটা বিএনপির কাজ। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচনে না এসে জালাও পোড়াও করেছে। সেই চরিত্র দেখলাম গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ হত্যা করেছে। পুলিশ হাসপাতালে হামলা করে। পুলিশ মারে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা। এখানে কেউ উস্কানি দেয়নি। তারা এটা আরো ঘটাতে হবে। এটাই তাদের চরিত্র।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। গরীব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের লক্ষ্যে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, মহান অর্জনের জন্য আত্মাত্যাগ করতে হয়। ৬ বছর রিফুজি হিসেবে দেশের বাইরে ছিলাম। ৩২ নম্বরের বাড়িতে আমাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। তখন একটাই লক্ষ্য ছিল মানুষের সেবা করবো। একটা খুনির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। পোল্যান্ড তখন বলেছিল, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আমরা নিতে পারবো না।
বাংলাদেশের কল্যাণ আওয়ামী লীগের হাতেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭৫ সালে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা মানুষের উন্নয়নের জন্য কোনো কাজ করেনি। যা করেছে নিজের জন্য। মানুষের কোনো জীবনের পরিবর্তন হয়নি। আজকে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন এসেছে। তখন দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছেন।

 

 

 

 

ইত্তেফাক

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *