fbpx
হোম আন্তর্জাতিক কাশ্মীরে হাসপাতালে ওষুধ নেই, ঘরে ঘরে খাবার সংকট
কাশ্মীরে হাসপাতালে ওষুধ নেই, ঘরে ঘরে খাবার সংকট

কাশ্মীরে হাসপাতালে ওষুধ নেই, ঘরে ঘরে খাবার সংকট

0

হাসপাতালে ওষুধ নেই, ঘরে ঘরে খাবার সংকট
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কারফিউ। সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। ‘খাঁচাবন্দি’ কাশ্মীরে বাজারঘাট ও দোকানপাট সব বন্ধ। বন্ধ সব ধরনের পণ্য সরবরাহ।

উপত্যকাজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি খাবার ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল, ফার্মেসি- কোথাও ওষুধ নেই।

খাবারের মজুদও শেষ হয়ে গেছে বাসিন্দাদের। ঘরে ঘরে হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। জরুরি রোগীকে হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার ক্ষমতা নেই।

সেনা-পুলিশের পেলেট গান বা ছররা গুলিতে আহত গুরুতর রোগীদেরও হাসপাতালে নিতে দেয়া হচ্ছে না। শুধু রোগীই নয়, হাসাপাতালে যেতে পারছে না চিকিৎসক ও কর্মীরাও।

রোগী ও স্টাফরা যাতে সহজেই হাসপাতালে যেতে পারে সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারের কাছে চিঠি লিখেছে

চিকিৎসকদের ১৮ সদস্যের একটি দল। খবর দ্য হিন্দুর।

চলতি মাসের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করা হয়। কিন্তু এর একদিন আগে থেকেই উপত্যকাজুড়ে কড়া অবরোধ চাপিয়ে দেয়া হয়। মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সচ্ছল পরিবারগুলোর অনেকেই ঘরে খাবার ও ওষুধ মজুদ করেছিলেন। এরই মধ্যে তাদের সেই মজুদও শেষ হয়ে গেছে। একটানা কারফিউয়ের কারণে দোকানপাট না খোলায় ভয়াবহ সংকটে পড়েছে তারা। আরও বড় বিপদে পড়েছে ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ দরিদ্র পরিবারগুল ১৬ দিন ধরে বাইরে বেরুতে পারছে না তারা।

কোনো কাজ নেই, খাবার কেনার টাকা নেই। ছেলে-মেয়ে ও পরিবার-পরিজন নিয়ে একরকম না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। কারফিউয়ের কারণে ফার্মেসি বন্ধ থাকায় ওষুধ কিনতে পারছে না রোগীরা। ব্যাংক বন্ধ আর এটিএম বুথে টাকা নেই।

শ্রীনগরের তাংমার্জ এলাকার বাসিন্দা মুসতাক আহমেদ। শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত ছোট ভাগিনীর জন্য অতিপ্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ কেনার বের হন তিনি। কিন্তু যানবাহন না থাকায় কয়েক ঘণ্টা হেঁটে অবশেষে শহরে পৌঁছান।

কিন্তু শহরের সব ওষুধের দোকান খুঁজেও কাক্সিক্ষত ওষুধ পাননি। ৩২ বছর মুখতার আহমেদ শ্রীনগরে একটি ওষুধ দোকানের মালিক। তিনি জানান, ওষুধের সরবরাহ না থাকায় ইনসুলিন, শিশুখাদ্য এবং অতিপ্রয়োজনীয় অন্যান্য ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।

আরেক ফার্মেসির মালিক রিয়াজ আহমাদ বলেন, ওষুধের জন্য লোক এখানে-ওখানে ছুটে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা কোনো ওষুধ দিতে পারছি না।’ কারফিউ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা ও বেঁচে

থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ করেছে ১৮ চিকিৎসকের একটি দল। ভারত সরকারের কাছে লেখা এক যৌথ চিঠিতে চিকিৎসকরা বলেছেন, মানুষ তাদের স্বজনদের হাসপাতালে নিতে পারছে না। অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে পারছে না।

প্রাইভেট ডেকে রোগীকে হাসপাতালের নেয়ার চেষ্টা করলেও তাদেরকে কয়েক মিটার পরপরই থামিয়ে দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরিচয়সহ নানা প্রশ্ন করে হয়রানি করছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু রোগীয় নয় চিকিৎসক ও কর্মীদেরকে হাসপাতালে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। রোগীর জীবন বাঁচাতে শিগগিরই কারফিউ তুলে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আবেদন জানিয়েছেন তারা।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *