কাশ্মীরে গণবিক্ষোভের ডাক
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা কাশ্মীরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। চলতি মাসের প্রথম দিকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম গণবিক্ষোভের ডাক।
গত ৪ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ঘোষণা করে বিজেপি সরকার। বিক্ষোভসহ যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে কাশ্মীরের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধসহ কারফিউ জারি করা হয়। তবে গত শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে শুরু করে কেন্দ্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাতে কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সেঁটেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও কর্মীরা।
বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রধান গ্রুপগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী জয়েন্ট রেজিসটেন্স লিডারশিপ একটি পোস্টারে বলেছে, প্রত্যেক ব্যক্তি-তরুণ ও বৃদ্ধ, পুরুষ ও নারীর উচিৎ শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিছিলে যোগ দেওয়া।
পোস্টারে মিছিল নিয়ে শ্রীনগরে জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গ্রুপের দপ্তরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম যুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে শ্রীনগরে জাতিসংঘের এই পর্যবেক্ষক দপ্তর খোলা হয়।
আরেকটি পোস্টারে বলা হয়েছে, অন্য রাজ্য থেকে লোক এনে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের জনমিতি পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছে। জুমার নামাজে এই আশঙ্কার কথা মুসুল্লিদের কাছে তুলে ধরতে ইমামদের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে এতে।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় গত সপ্তাহে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ হয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন তারা বিক্ষোভে যোগ দেবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যবয়সী এক বাসিন্দা বলেন, আমরা চেষ্টা করব, জনগণ যাওয়ার চেষ্টা করবে।