fbpx
হোম ক্রীড়া কাজের মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেন মাশরাফি
কাজের মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেন মাশরাফি

কাজের মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেন মাশরাফি

0

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গৃহপরিচারিকার গ্রামের বাড়ি বেড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।

শুক্রবার শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের যোগানিয়া কাচারি মসজিদ সংলগ্ন টুনির বাবা আক্কাছ আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।

এদিকে মাশরাফির আগমনে এলাকায় হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রথমদিকে গোপন থাকলেও নিভৃত পল্লীতে দুটি মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে মাশরাফির আসার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লোকজনের ভিড় সামলাতে মাত্র আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর শেরপুর ত্যাগ করতে হয় তাকে।

যোগানিয়ার সেই অজপাড়াগাঁয়ে মাশরাফিকে দেখতে ছুটে যাওয়াদের মধ্যে ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মুকছেদুর রহমান লেবুও। তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির আচরণ ও ব্যবহারে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, “ভাবা যায়-বাসার কাজের মেয়ে এবং সাবেক নিরাপত্তা কর্মীকে খুশি করতে, তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে তার মতো এমন একজন সেলিব্রেটি এমন অজপাড়াগাঁয়ে সস্ত্রীক এসেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বাসার নিরাপত্তা কর্মীর কাজ থেকে টুনির বাবা আক্কাছ আলী বিদায় নিলেও তার পরিবারের প্রতি মাশরাফির রয়েছে দারুণ মমতা। তিনি আক্কাছ আলীকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন, তাদের মাথা গোজার জন্য গ্রামের বাড়িতে একটি সেমিপাকা ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি টুনির ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখানে না এলে বিষয়টি আমরা জানতেই পারতাম না। সত্যিই ‘ম্যাস দ্যা রিয়েল ক্যাপ্টেন, স্যালুট হিম।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এবারের কোরবানির ঈদ মাশরাফির বাসাতে কাটলেও পরে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসার ইচ্ছে ছিল টুনির। সেই ইচ্ছা পূরণে কেবল টুনিকে পাঠানো নয়, নিজের গোটা পরিবারের লোকজন নিয়েই টুনিদের গ্রামের বাড়িতে হঠাৎ করেই চলে আসেন মাশরাফি।

এদিকে, জনতার ভিড় এবং উৎকট গরমের কারণে দ্রুতই পরিবারের সবাইকে নিয়ে গাড়িতে উঠতে হয় মাশরাফিকে। ফলে আগমনের প্রায় আড়াই ঘণ্টার মাথায়ই বিদায় নেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজা।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
1

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *