fbpx
হোম আন্তর্জাতিক কম্বোডিয়ায় মরেনি একজনও, তারা কিভাবে ঠেকিয়েছে করোনাকে ?
কম্বোডিয়ায় মরেনি একজনও, তারা কিভাবে ঠেকিয়েছে করোনাকে ?

কম্বোডিয়ায় মরেনি একজনও, তারা কিভাবে ঠেকিয়েছে করোনাকে ?

0

লকডাউন কর্মসূচিতে না গিয়েও মহামারি করোনাভাইরাসকে ঠেকিয়ে দিয়েছে কম্বোডিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭৫ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৭৪ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মৃত্যুর তালিকায় একজনও নেই। শুরু থেকেই করোনাকে হালকাভাবে না নেয়ার মানসিকতা এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নের কারণে এই সাফল্য।

বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক প্রোগ্রামের প্রধান হিসেবে কম্বোডিয়ায় দায়িত্বরত ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার জন্য জরুরি ঘোষণা দেয়ার পরপরই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে থাকে কম্বোডিয়া। জানুয়ারিতেই করোনা মোকাবিলায় জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত ৯টি অ্যাকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কোভিড মাস্টার প্ল্যান ঘোষণা করে। করোনা নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে এবং কোনো বিষয়ে বিভ্রান্ত না হতে টেলিভিশনসহ অন্যান্য গণমাধ্যম এবং ফেসবুকে প্রচারণা চালাতে থাকে।

ড. জিয়া জানান, শুরু থেকেই কম্বোডিয়া সীমান্তে কড়া নজরদারি চালিয়েছিল। ২টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘হেলথ স্ক্রিনিং’-এর ব্যবস্থা করা হয়। বাইরে থেকে কেউ আসলে সন্দেহজনক হলেই পিসিআর টেস্ট করা হয় এবং সবাইকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যাদের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে, তাদের নিয়মিত ফলোআপ করা হতো। এপ্রিল-জুলাই ফ্লাইট পুরোপুরি বন্ধ ছিল। আর ট্যুরিস্ট ভিসা তো একদমই বন্ধ। শুধু ব্যবসায়ী এবং কূটনীতিকদের প্রবেশাধিকার আছে দেশটিতে। এখন বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের সরকারি তত্ত্বাবধানে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেলে প্রবেশের সময়ই স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের নমুনা নিয়ে নেন। টেস্টের রেজাল্ট পেতে এক রাত সবাইকে হোটেলেই কাটাতে হয়। কোনো ফ্লাইটের একজনেরও যদি রিপোর্ট পজেটিভ হয়, তাহলে সব যাত্রীকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়।

ড. জিয়া জানান, বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় দেয় এপ্রিল মাসে। কিন্তু তার জন্য বসে থাকেনি কম্বোডিয়া। শুরুর দিকেই চীন থেকে নিজেরা পিপিই সংগ্রহ করে সব জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বণ্টন করা হয়। বিশ্বব্যাংকের সাহায্যের পর আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ইত্যাদিতে জোর দেয়া হয়। চিকিৎসকদের জন্য বোনাস, যাতায়াত ভাতার ব্যবস্থা করা হয়। গ্রাম পর্যায়েও কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়। কম্বোডিয়ায় সব নাগরিকদের জন্য টেস্ট বিনামূল্যে করা হয়। এমনকি চিকিৎসাও বিনামূল্যে। তাছাড়া ২৫টি প্রদেশের সব জায়গাতেই নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে বিদেশিদের টেস্ট খরচ এবং চিকিৎসা খরচ নিজেদের বহন করতে হয়। কম্বোডিয়াতে সরকারিভাবে কড়া নির্দেশনা দেয়া আছে সব প্রাদেশিক হাসপাতালেই যে কেউ নিজেকে করোনাক্রান্ত মনে করলে ভর্তি হয়ে যেতে পারবেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *