কখন, কোন ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বাংলাদেশে ?…
সহযোগী বায়োএনটেকের সঙ্গে ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন, মর্ডানার ভ্যাকসিন এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন। তিনটি নিয়েই চলছে নানান আলোচনা। আশার আলো দেখাচ্ছে তিনটিই। তাদের পরীক্ষণ বলছে সবগুলো ভ্যাকসিনই রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।
শুধু নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেলেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারদের কাছে এসব ভ্যাকসিন বিতরণ করা শুরু হবে বলে জানিয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠানই।
তবে শুরুতেই যে এশিয়ার দেশগুলো বেশি বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন পাবে তার প্রত্যাশা নেই। প্রত্যাশিত বিতরণ সময়সীমাও নির্ধারিত হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় এখনও ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। এ সব ডামাডোলের মধ্যে থেকে কবে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ?
রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সেরামের সঙ্গে ৩০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজের একটি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। তাছাড়া জাভি থেকেও ভর্তুকিতে ৬৮ মিলিয়ন ডোজ সংগ্রহের প্রত্যাশা রয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট। গত ২৩ নভেম্বর তারা জানায়, পরীক্ষণে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায়, এই বছরের শেষে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চাইবে তারা। তারপরে পুরোপুরি ব্যবহার শুরু হবে পরের বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে।
ফেব্রুয়ারিতে সরকার সমর্থিত একটি টিকা পাওয়ার প্রত্যাশাও করছে দেশটি। রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ টিকার ট্রায়াল পরিচালনা হচ্ছে ভারতে। ফলে সেটা নিয়েও আশাবাদী তারা।